ছাত্রলীগের আসা দেখে পুলিশ চলে গেল
ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালানোর আগে সেখানে পুলিশ উপস্থিত থাকলেও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের আসতে দেখে পুলিশ চলে যায়।
আন্দোলনে ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে ও কোটা সংস্কারের প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে সকাল পৌনে ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ১৫-২০ জন শিক্ষার্থী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এসময় পুলিশের একটি দল সেখানে দায়িত্ব পালন করছিলেন। পরে ছাত্রলীগের ১০-১৫ জনকে আসতে দেখে তারা সেখান থেকে সরে যান। এর পরই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শিক্ষার্থীদের মারধর শুরু করে। এসময় বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি বিআই বাঁধন ও সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন আন্দোলনের একজন নেতা ফারুক হোসেনকে মোটরসাইকেলে করে তুলে নিয়ে যায়।
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের আসতে দেখে পুলিশ চলে যাওয়ার সময় সাংবাদিকরা কারণ জানতে চাইলে শাহবাগ থানার এসআই শাহেদ বলেন, ‘জানাচ্ছি... জানাচ্ছি...’ এই বলেই ঘটনাস্থল থেকে চলে যান তিনি। দুপুর ১টার দিকে ফোন করা হলে শহীদ মিনার এলাকা থেকে সরে যাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে দ্য ডেইলি স্টারকে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় স্পর্শকাতর এলাকা তাই ঝামেলা ঘটতে পারে ভেবে তিনি অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের নিয়ে সেখান থেকে চলে যান। সেখান থেকে চলে গিয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানিয়েছেন বলেও যোগ করেন এসআই শাহেদ।
তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা সম্পর্কে ‘অবহিত নন’ বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী। আজ দুপুর পৌনে ১টার দিকে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন প্রক্টর।
শহীদ মিনার চত্বর থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতাকে তুলে নেওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে শাহবাগ থানার ওসি আবুল হাসান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। এটা জাতীয় ইস্যু।’
আর আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বলেন, শহীদ মিনারের সামনে ছাত্রলীগের দুই দফা হামলায় ১০-১২ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। ফারুক হোসেনকে কোথায় তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সে সম্পর্কেও বলেন, তিনি কিছু জানেন না।
Comments