প্রতিপক্ষ আমার মনোযোগ নষ্ট করার জন্যই এসব করছে: নেইমার
এই বিশ্বকাপে সম্ভবত একটি ম্যাচও যায়নি, যেখানে তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষরা ইচ্ছে করে পড়ে যাওয়ার অভিযোগ আনেননি। তবে এসবে পাত্তা দিচ্ছেন না নেইমার নিজে। বলেছেন, খেলা থেকে তাঁর মনোযোগ সরিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যেই প্রতিপক্ষরা এমন করছে।
সর্বশেষ অভিযোগটা এসেছে মেক্সিকো কোচ হুয়ান কার্লোস ওসোরিওর পক্ষ থেকে। শেষ ষোলোতে ব্রাজিলের কাছে ২-০ তে হেরে যাওয়ার পর মেক্সিকো কোচ সরাসরি নেইমারের নাম না নিয়েই তাঁর বিরুদ্ধে ‘ফাউলের ভণিতা’ করার অভিযোগ এনেছেন। ম্যাচের এক পর্যায়ে নেইমারের জন্য চার মিনিট খেলা বন্ধ থাকার ঘটনা নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে একজন খেলোয়াড়ের জন্য ম্যাচে প্রচুর সময় নষ্ট হয়েছে। এটা লজ্জাজনক। ফুটবলের জন্যই লজ্জার এটা। রেফারির বারবার খেলা থামানোর কারণে দ্বিতীয়ার্ধে আমরা খেলার ছন্দ হারিয়ে ফেলেছি। বারবার এভাবে খেলা আটকানো দেখতে দেখতে ক্লান্ত আমরা।’
তবে প্রতিপক্ষের এসব কথা আমলে নিচ্ছেন না ব্রাজিলের হেক্সা জয়ের স্বপ্নসারথি নেইমার। বলেছেন, এসবই খেলা থেকে তাঁর মনোযোগ দূরে সরিয়ে দেয়ার কৌশল প্রতিপক্ষের, ‘আমি মনে করি এটা আমার মনোযোগ নষ্ট করার চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়। আমাকে নিয়ে কে কী সমালোচনা করছে, তাতে আমার কিছুই যায় আসে না। এমনকি প্রশংসা করলেও আমি গায়ে মাখি না, কারণ এগুলো একজন অ্যাথলেটের আচরণে প্রভাব ফেলতে পারে। গত দুই ম্যাচে আমি মিডিয়ায় কোন কথা বলিনি। কারণ প্রচুর লোক নিজেদের মনগড়া কথা বলছিল, উত্তেজিত হয়ে যাচ্ছিল। আমি ঠিক জানি না তারা এসব লোক দেখানোর জন্যই করছিল কী না। আমি এখানে আমার সতীর্থদের সাথে নিয়ে জিততে এসেছি।’
ঘটনার সূত্রপাত মূলত ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের একটি ঘটনা নিয়ে। টাচলাইনের বাইরে মাটিতে পড়ে ছিলেন নেইমার। মেক্সিকোর মিগুয়েল লায়ুন সেই মুহূর্তে বল নিতে গিয়ে নেইমারের পায়ে পা দিয়ে আঘাত করেন, আর তখনই ব্যথায় চিৎকার করে ওঠেন নেইমার। তখন চার মিনিট খেলা বন্ধ রাখতে হয় রেফারিকে। এই ব্যাপারে ব্রাজিল কোচ তিতের কাছে জানতে চাইলে তিনি সরাসরি কিছু বলেননি, ‘যা ঘটেছে তার সবটাই দেখেছি আমি। আপনারা ভিডিওটা আবার দেখুন, ভিডিওর বাইরে গিয়ে তো কেউ কিছু বলতে পারবে না।’
আরও পড়ুন ঃ গ্যালারিতে নাৎসি ব্যানার: রাশিয়াকে জরিমানা করলো ফিফা
Comments