সংখ্যায় সংখ্যায় ইংল্যান্ড-কলম্বিয়া ম্যাচ

দুই দলের শেষ ষোলোতে আসার পথটা ছিল ভিন্ন রকম। অনেকটা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় গ্রুপ পর্ব পার হয়েছে ইংল্যান্ড, অপরদিকে জাপান-সেনেগালের সাথে ত্রিমুখী লড়াই জিতে তবেই শেষ ষোলোতে এসেছে কলম্বিয়া। আগের বিশ্বকাপের চমক কলম্বিয়ার সাথে নতুন চেহারার ইংল্যান্ডের লড়াইটা জমজমাটই হওয়ার কথা। তবে তার আগে পরিসংখ্যানের দিকে একবার নজর দেয়া যাক।
হেড টু হেড:
১) দুই দল এর আগে পাঁচবার মুখোমুখি হয়েছে, তাতে কখনোই ইংলিশদের হারাতে পারেনি কলম্বিয়া।
২) দুই দলের সর্বশেষ দেখা ২০০৫ সালে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতে অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচে মাইকেল ওয়েনের হ্যাটট্রিকে কলম্বিয়াকে ৩-২ গোলে হারিয়েছিল ইংল্যান্ড।
৩) বিশ্বকাপে মাত্র একবারই মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। ১৯৯৮ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে ড্যারেন অ্যান্ডারটন ও ডেভিড বেকহামের গোলে লাতিন আমেরিকার দেশটিকে ২-০ গোলে হারিয়েছিল ইংল্যান্ড।
ইংল্যান্ড:
১) বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ৮ টি নকআউট ম্যাচের মধ্যে মাত্র দুইটিতে জিতেছে ইংল্যান্ড।
২) নকআউট পর্বে লাতিন আমেরিকার প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ইংল্যান্ড সর্বশেষ জিতেছিল ২০০৬ বিশ্বকাপে। শেষ ষোলোর ম্যাচে ইকুয়েডরকে ১-০ গোলে হারিয়েছিল তারা।
৩) বিশ্বকাপে নিজেদের ১৮ টি নকআউট ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটিতেই গোল করতে পারেনি ইংল্যান্ড। ২০০৬ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পর্তুগালের বিপক্ষে ১২০ মিনিটেও কোন গোল করতে পারেনি তারা। পরে পেনাল্টিতে হেরেছিল তারা।
৪) এই বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত মাত্র ১৫৩ মিনিট মাঠে ছিলেন হ্যারি কেইন, তাতেই ৫ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকায় শীর্ষে আছেন ইংলিশ অধিনায়ক।
৫) আজ কলম্বিয়ার বিপক্ষে গোল পেলেই একটা রেকর্ডে নাম উঠবে কেইনের। দেশের জার্সি গায়ে শেষ ৫ ম্যাচেই গোল পেয়েছেন কেইন, আজও গোল পেয়ে ছুঁয়ে ফেলবেন ১৯৩৯ সালে করা থ্রি লায়ন্সদের জার্সি গায়ে টমি লটনের টানা ৬ ম্যাচে গোল করার কীর্তি।
৬) বিশ্বকাপে এই নিয়ে ১৮ তম বারের মতো লাতিন প্রতিপক্ষের সাথে মুখোমুখি লড়াইয়ে নামছে ইংল্যান্ড। আগের ১৭ বারের মধ্যে ইংল্যান্ড জিতেছে ৮ বার, হেরেছে ৬ বার আর ড্র করেছে ৩ বার।
কলম্বিয়া:
১) এই নিয়ে তৃতীয়বারের মতো নকআউট পর্বে উঠলো কলম্বিয়া। দলটি কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে মাত্র একবারই, চার বছর আগে ব্রাজিল বিশ্বকাপে।
২) ২০১২ সালে হোসে পেকারম্যান কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে ইউরোপিয়ান প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ৮ ম্যাচ খেলে একটিতেও হারেনি কলম্বিয়া। জিতেছে ৬ ম্যাচে, আর বাকি দুইটি হয়েছে ড্র।
৩) বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ৮ ম্যাচেই গোল করেছে কলম্বিয়া। ১৯৯৮ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে ইংল্যান্ডের কাছে ২-০ তে হারার পর আর কোন ম্যাচেই গোল করতে ব্যর্থ হয়নি দেশটি।
৪) বিশ্বকাপে যে ২১ টি ম্যাচ খেলেছে কলম্বিয়া, তার কোনটিই গোলশূন্য ড্রতে শেষ হয়নি।
৫) এই বিশ্বকাপে কলম্বিয়ার করা পাঁচ গোলের মধ্যে তিনটিতেই সরাসরি অবদান রেখেছেন হুয়ান কিন্টেরো। প্রথম ম্যাচে এক গোল করার পর পরের দুই ম্যাচে করেছেন একটি করে অ্যাসিস্ট।
Comments