এক ইনিংসে যত অস্বস্তির রেকর্ড সঙ্গী বাংলাদেশের
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অ্যান্টিগা টেস্টে নিজেদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন ৪৩ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। টেস্ট ক্রিকেটে নিজেদের সর্বনিম্ন ৪৩ রানে গুটিয়ে যাওয়ার দিন বেশ কিছু অস্বস্তিকর রেকর্ডও সঙ্গী হয়েছে বাংলাদেশের।
• ৪৩ রানে অলআউট হওয়া বাংলাদেশের ইনিংসটি ১১তম সর্বনিম্ন ইনিংস। তবে এই শতাব্দিতে এত কম রানে অলআউটের নজির নেই আর কারো। ১৯৭৪ সালের জুনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভারত অলআউট হয়েছিল ৪২ রানে। এরপর গত ৪৪ বছরে এরচেয়ে রানে অলআউটের ঘটনা দেখা যায়নি।
• এই প্রথম কোন টেস্টের প্রথম সেশনেই অলআউট হলো বাংলাদেশ। ২০০৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আগের সর্বনিম্ন ৬২ রানে অলআউট হতে দ্বিতীয় সেশন ছুঁয়েছিল বাংলাদেশের ইনিংস।
• ৫০ রানের নিচে ইনিংস গুটিএয় যাওয়ার এটি ২১তম ঘটনা। বাংলাদেশের জন্যে বিব্রতিকর পরিস্থিতি এসেছে এই প্রথম।
• বাংলাদেশের ৪৩ রানের ইনিংস স্থায়ী হয় ১৮ ওভার ৩ বল। টেস্টের সব ইনিংস মিলিয়ে এরচেয়ে কম বলের ইনিংস আছে আর ৫টি। তবে টেস্টের প্রথম ইনিংসের হিসাব নিলে ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার ১৮ ওভার ৩ বলের পরেই আছে বাংলাদেশের এই ইনিংসটি।
• ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাঠে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এটিই টেস্টের সর্বনিম্ন রানের ইনিংস। এরআগে ১৯৯৪ সালে পোর্ট অব স্পেনে ইংল্যান্ড স্বাগতিকদের বিপক্ষে গুটিয়ে গিয়েছিল ৪৬ রানে।
• ইনিংসের প্রথম ১০ ওভারের মধ্যেই ৮ রানে বাংলাদেশের প্রথম ৫ উইকেট নেন কেমার রোচ। ১৯৯৯ সালে বল প্রতি রেকর্ড সংগ্রহ চালু হওয়ার পর প্রথম ১০ ওভারে দ্বিতীয় সেরা বোলিং এটি। ২০১৩ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার ভার্নন ফিল্যান্ডার প্রথম ১০ ওভারের মধ্যেই ৫ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন।
• টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে কোন ইনিংসে একক ব্যাটসম্যান হিসেবে সবচেয়ে বেশি শতাংশ রান করেছেন লিটন দাস। দলের ৪৩ রানের মধ্যে ২৫ রান করে ৫৮ শতাংশ রান করেন তিনি। পুরো ইনিংসে আর কেউ দুই অঙ্কেও যেতে পারেননি। তবে এই রেকর্ড নিশ্চিতভাবে মনে করতে চাইবেন না লিটনও।
• দেশের ৮৮তম টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক হয় পেসার আবু জায়েদ রাহির। নিজের অভিষেকের দিনের প্রথম সেশনে ব্যাটিং আর বোলিং দুটোই করেছেন তিনি। এমন নজির নিশ্চিতভাবে বাংলাদেশের আর কারো ছিল না। টেস্ট ক্রিকেটেই এমন আর হয়েছিল কিনা তা নিয়েও আছে সংশয়।
Comments