বিশ্বকাপে আর দেখা যাবে না যে ফুটবলারদের
লিওনেল মেসি আর ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর দর্শন বিশ্বকাপ ফুটবল আর কখনো পাবে কি না, তা নিয়ে কৌতূহলের অন্ত নেই ফুটবলপ্রেমীদের। মেসি-রোনালদো আর খেলবেন কি না সে ব্যাপারে এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা সম্ভব নয়, তবে এমন বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় আছেন, রাশিয়া বিশ্বকাপই হয়ে থাকবে যাদের শেষ বিশ্বকাপ। ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ খেলে ফেলা সেই ফুটবলারদের সম্পর্কে একবার জেনে নেয়া যাক।
আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা
ইনিয়েস্তার বিদায় অনেকটা প্রত্যাশিতই ছিল। এই বিশ্বকাপ শেষেই তুলে রাখতে পারেন জাতীয় দলের জার্সি, এমনটা অনুমান করেছিলেন অনেকেই। দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে স্পেনের বিদায়ের পর সে শঙ্কাই সত্যি হয়েছে। স্পেনের হয়ে আর দেখা যাবে না ২০১০ বিশ্বকাপের ফাইনালে জয়সূচক গোল করা ইনিয়েস্তাকে।
জেরার্ড পিকে
এই আসরের মাসখানেক আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, রাশিয়া বিশ্বকাপই হতে চলেছে তার শেষ বিশ্বকাপ। আগামী বিশ্বকাপ আসতে আসতে বয়স হয়ে যাবে ৩৫, ততদিনে আর নিজের সেরাটা দিতে পারবেন না বলেই এখনই অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন স্পেনের একমাত্র বিশ্বকাপজয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ এই সদস্য।
ডেভিড সিলভা
কাতার বিশ্বকাপ আসতে আসতে সিলভার বয়স হয়ে যাবে ৩৬। তারুণ্যনির্ভর স্পেন দলে ততদিনে আর জায়গা পাওয়ার কথা নয় ইউরো ২০১২ জয়ী স্পেন দলের অন্যতম স্তম্ভ ডেভিড সিলভার।
হাভিয়ের মাশচেরানো
ফ্রান্সের কাছে হারের পর আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানিয়ে দিয়েছেন আর্জেন্টিনার হয়ে সবচেয়ে বেশি ১৪৭ ম্যাচ খেলা হাভিয়ের মাশচেরানো।
পেপে
এখনই বয়স হয়ে গেছে ৩৫, কাতার বিশ্বকাপে পেপেকে দেখার আশাটা তাই কিছুটা বাড়াবাড়িই মনে হতে পারে। বিশ্বকাপ না জিততে পারলেও একেবারে খালি হাতে অবশ্য বিদায় নিবেন না পেপে। দেশের হয়ে ইউরো জেতার স্বাদ পেয়েই ক্যারিয়ারের ইতি টানতে পারবেন তিনি।
রাফায়েল মার্কেজ
এই বিশ্বকাপে যে খেলেছেন, এটিই ছিল বিস্ময়। ৩৯ বছর বয়সী রাফায়েল মার্কেজ এই বিশ্বকাপে অংশ নিয়েই করে ফেলেছেন ইতিহাস। অধিনায়ক হিসেবে পাঁচটি বিশ্বকাপে খেলার একমাত্র কীর্তিটি তার। আগামী বিশ্বকাপে মার্কেজের দেখা পাওয়াটা প্রায় অসম্ভবই।
মারিও গোমেজ
জার্মান দলে আছেন অনেক দিন ধরেই, কিন্তু কখনোই থিতু হতে পারেননি। কাতার বিশ্বকাপ আসতে আসতে বয়স হয়ে যাবে ৩৭। সাম্প্রতিক সময়ে ফর্ম হারিয়ে ফেলা মারিও গোমেজের বিশ্বকাপ ক্যারিয়ার এখানেই শেষ, এটা অনেকটাই নিশ্চিত।
রিকার্ডো কারেসমা
বুটের বাইরের অংশ দিয়ে দূরপাল্লার শট মারা- রিকার্ডো কারেসমার নাম বললেই চোখে ভেসে ওঠে এই দৃশ্য। রাশিয়া বিশ্বকাপেও দেখা গেছে এই দৃশ্য, তবে কাতার বিশ্বকাপে এই দৃশ্য দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
রাদামেল ফ্যালকাও
কলম্বিয়ার ফুটবল ইতিহাসে বিশাল অবদান রাখা ফ্যালকাওকে খুব সম্ভবত আর কখনো দেখা যাবে না বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় মঞ্চে।
Comments