এমন বিপর্যয়ের কোন অজুহাত দিচ্ছেন না তামিম
ঘাসে ভরা উইকেট, বাউন্স আর মুভমেন্টের অনভ্যস্ততা। ফল টেস্টে নিজেদের ইতিহাসের সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়া আর সবচেয়ে বাজে হার। তবে এর কোনটারই আসলে অজুহাত দাঁড় করাতে চান না তামিম ইকবাল। এমন হারে কেবল নিজেদের দায়ই দেখছেন বাংলাদেশ ওপেনার।
অ্যান্টিগা টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৪৩ রানে গুটিয়ে গিয়েই বড় হার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। দ্বিতীয় ইনিংসেও এক নুরুল হাসান সোহান ছাড়া হাল ধরতে পারেননি কেউ। বাংলাদেশ হেরেছে ইনিংস ও ২৩০ রানে। র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থেকেও এমন হার সমর্থকদের মতো ক্রিকেটারদেরও হতভম্ব করেছে বলে জানান তামিম, ‘অ্যান্টিগা টেস্ট আপনাদের জন্য যেমন শকিং ছিল আমাদের জন্যও সেইম শকিং ছিল। আমরা জানি যে আমরা এর থেকে অনেক ভালো দল। আমরা আসলে যে ধরণের পারফরম্যান্স করেছি সেটা কোনোভাবেই প্রত্যাশিত না।’
‘যে জিনিসটা দলের মধ্যে আছে…আমরা কোনোভাবেই অজুহাত খোঁজার চেষ্টা করছি না। আমরা জানি যে আমাদের ভুলের কারণেই এই পারফরম্যান্সটা হয়েছে। আর এটা আশা করি আমরা সামনের টেস্ট ম্যাচে ভালো কিছু করার চেষ্টা করবো।’
১২ জুলাই জ্যামাইকায় শুরু হচ্ছে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। সেখানে দলের এখন প্রধান কাজ আত্মবিশ্বাসের খোঁজ, ‘আমার জন্য এবং দলের জন্য সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, আমাদের বিশ্বাস রাখতে হবে নিজেদের ওপর যে আমরা ভালো করতে পারি দলগত হিসেবে এবং ব্যক্তি হিসেবেও। আমরা বড় রান করতে পারি সেই বিশ্বাসও করতে হবে।’
দ্বিতীয় ইনিংসেও বাংলাদেশের টপ আর মিডল অর্ডার ধসে পড়ার পর শঙ্কা জেগেছিল প্রথমবারের মতো দুই ইনিংসেই একশো রানের নিচে গুটিয়ে যাওয়ার। সেখান থেকে লড়াই করে দলকে তিন অঙ্ক পার করান নুরুল হাসান। ভালো সঙ্গ দিয়েছেন কামরুল ইসলাম রাব্বি ও রুবেল হোসেনও। তাদের কাছ এখন প্রেরণা খুঁজছেন সব ফরম্যাটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক, ‘আপনারা যদি শেষ ম্যাচে সোহান এবং লোয়ার অর্ডারে রুবেল যেভাবে করেছে এটা প্রমাণ করে যে, আপনি যদি পর্যাপ্ত সময় ব্যয় করেন উইকেটে যতই কঠিন উইকেট হোক না কেন আপনি রান করতে পারবেন।’
Comments