আত্মঘাতী গোলে মৃত্যুর হুমকি পাচ্ছেন ব্রাজিলের ফের্নানদিনহো

ভিনসেন্ট কম্পানির হেডটা জালে জড়ানোর আগে গায়ে লেগেছিল ফের্নানদিনহোর। আর তাতেই ম্যাচে হারের সব দোষ ঘাড়ে পড়েছে এ ম্যানচেস্টার সিটি ফুটবলারের। বর্ণবাদের স্বীকার তো হচ্ছেন হরহামেশা এমনকি মেসেজে মৃত্যুর হুমকিও পাচ্ছেন। বাদ যাচ্ছে না তার স্ত্রী পরিবারও।

ভিনসেন্ট কম্পানির হেডটা জালে জড়ানোর আগে গায়ে লেগেছিল ফের্নানদিনহোর। আর তাতেই ম্যাচ হারের সব দোষ ঘাড়ে চেপেছে এ ম্যানচেস্টার সিটি ফুটবলারের। বর্ণবাদের স্বীকার তো হচ্ছেন হরহামেশা এমনকি মেসেজে মৃত্যুর হুমকিও পাচ্ছেন। বাদ যাচ্ছে না তার স্ত্রী পরিবারও।

শনিবার ম্যাচের ১২ মিনিটেই ফের্নানদিনহোর আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়ে ব্রাজিল। এরপর বেলজিয়ান মিডফিল্ডার ক্যাভিন ডি ব্রুইনের দুর্দান্ত এক গোলে ব্যবধানটা বাড়ে। ফলে দারুণ চাপে পড়ে যায় ল্যাটিন আমেরিকার দলটি। যদিও ৭২ মিনিটে একটি গোল শোধ করেছিলেন রেনেতো অগাস্তো। কিন্তু পরাজয় এড়াতে পারেনি। তাই সব ক্ষোভ এখন ফের্নানদিনহোর উপরই ঝাড়ছেন উগ্র সমর্থকরা।

৩৩ বছর বয়সী ফের্নানদিনহো ও তার স্ত্রী গ্লাউসিয়া রোজাকে সামাজিক মাধ্যমে একের পর এক বর্ণবাদী মেসেজ দিচ্ছেন পাশাপাশি মৃত্যুর হুমকিও দিচ্ছেন কতিপয় সমর্থক। ব্রাজিলিয়ান ফুটবল ফেডারেশন এ নিয়ে একটি বিবৃতিও দেয়, ‘ফের্নানদিনহো ও তার পরিবারের উপর বর্ণবাদী আক্রমণ মানতে পারছে না সিবিএফ। ফুটবল একতার রঙ, গোত্র, সংস্কৃতি ও মানুষদের প্রতিনিধিত্ব করে। আমরা তোমার সঙ্গে আছি। বর্ণবাদ টিকে থাকবে না।’

সামাজিক মাধ্যমে নানা ধরণের পোস্টে অনেকেই ফের্নানদিনহোকে ‘বানর’ বলে উল্লেখ করেছেন। তার স্ত্রীকেও একই ধরণের কটূক্তি করেছেন। কেউ একজন লিখেছেন, ‘... তোমার স্বামী সব শেষ করে দিয়েছে।’ আর এ কারণে ফের্নানদিনহোর স্ত্রী তা সহ্য করতে না পেরে নিজের ইনস্টাগ্রাম বন্ধ করে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ফের্নানদিনহোর মা।

চলতি বিশ্বকাপে শুরু থেকেই বিকল্প খেলোয়াড় হিসেবে খেলছিলেন ফের্নানদিনহো। কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচের আগে দুই হলুদ কার্ড দেখে নিষেধাজ্ঞায় পড়েন কাসেমিরো। তাই বেলজিয়ামের বিপক্ষে প্রথম একাদশে সুযোগ হয় তার। সৌভাগ্যের সুযোগটা শেষ পর্যন্ত ডেকে আনে দুর্ভাগ্য। এমনকি গোলটাও আসে নিজের ক্লাব সতীর্থ কম্পানির হেড থেকে।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

9h ago