‘এটি অনৈতিক’
হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর ধর্মঘটকে হাইকোর্ট অনৈতিক বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন।
বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর প্রেক্ষিতে গতকাল (৯ জুলাই) উচ্চ আদালত এই পর্যবেক্ষণ দেন।
দেশে চিকিৎসাসেবার অপ্রতুলতা এবং অবহেলার কারণে অনেকে বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করান, এর ফলে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা খরচ হয় বলেও সেই পর্যবেক্ষণে উল্লেখ রয়েছে।
বন্দরনগরীর চারটি হাসপাতালে র্যাবের ভ্রমমাণ আদালত অভিযান চালালে গত রবিবার সেখানকার বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো ধর্মঘটে যায়।
গত ২৯ জুন চট্টগ্রামের ম্যাক্স হসপিটালে একজন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকের তিন বছরের মেয়ে রাইফা খান মারা যান। হাসপাতালটির বিরুদ্ধে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ আনা হয়। এর সঙ্গে জড়িত চিকিৎসকদের বিচারের দাবিও জানানো হয়।
এরপর, চট্টগ্রাম সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে এক সরকারি তদন্তে মেয়েটির চিকিৎসায় অবহেলার প্রমাণ পায়।
গত ৫ মার্চ চুয়াডাঙ্গা জেলার ইমপ্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে ২০ জনের দৃষ্টিশক্তি হারানোর ঘটনায় গতকাল এক রুলের শুনানি হয় বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান এবং বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের বেঞ্চে।
সেই মানুষগুলোর দৃষ্টিশক্তি হারানোর কারণ জানিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালককে আগামী ১৬ জুলাইয়ের মধ্যে একটি প্রতিবেদন বেঞ্চের সামনে পেশ করতে বলা হয়েছে।
গত ২৯ মার্চ বাংলা দৈনিক সমকালের এক প্রতিবেদনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অস্ত্রোপচারের আগে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অমিত দাশগুপ্ত রিট আবেদন দাখিল করেন। সেই প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট গত ১ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গার হাসপাতালটির পরিচালক এবং একজন চিকিৎসককে কেন ২০ জন রোগীকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২০ কোটি টাকা দেওয়া হবে না এর ব্যাখ্যা চেয়ে রুল জারি করেন।
ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম হাসপাতালটিরে পক্ষে উপস্থিত ছিলেন।
Comments