ইংল্যান্ড বনাম ক্রোয়েশিয়া : ভবিষ্যদ্বাণী, একাদশ ও রেকর্ড
ফুটবলের মহামঞ্চের শেষ চারের লড়াই শুরু। স্বপ্নের ফাইনালের লড়াই। শিরোপা লড়াইয়ে টিকে থাকছেন কে তা জানার অপেক্ষা পালা প্রায় শেষের দিকে। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে রাতে মাঠে নামছে ১৯৬৬ সালের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড ও ক্রোয়েশিয়া। দুই দলই দুর্দান্ত ফুটবল খেলছে পুরো আসর জুড়েই। তাই জমজমাট একটি লড়াই প্রত্যাশা ফুটবল প্রেমীদের।
ম্যাচের ফলাফল কি হবে তা জানা যাবে ম্যাচ শেষে, তবে তার আগেই ফলাফলের ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে হাজির আমরা। পাশাপাশি দুই দলের সম্ভাব্য একাদশ, কৌশলও তুলে ধরা হলো-
কখন?
বাংলাদেশ সময় রাত ১২টা, মঙ্গলবার, ১১ জুলাই।
কোথায়?
লুঝনিকি স্টেডিয়াম, মস্কো
নজরে থাকবেন যারা
হ্যারি কেইন। বড় টুর্নামেন্টে অবশেষে নিজেকে প্রমাণ করলেন। চলতি আসরের সেরা গোলদাতা তিনি। তিন ম্যাচ খেলেই গোল দিয়েছেন ছয়টি। রয়েছে হ্যাটট্রিকও। গোল্ডেন বুটের লড়াইয়ে আছেন সবার আগে। তাকে ঘিরেই স্বপ্নের পরিধিটা লম্বা হচ্ছে ইংলিশদের। এছাড়া জেসে লিংগার্ড, ডেলে আলিরাও দারুণ খেলছেন।
মধ্যমাঠে বর্তমান সময়ের সেরা তারকা লুকা মদ্রিচ ক্রোয়েশিয়ার প্রাণ ভোমরা। তবে ইভান রকিতিচও কম যান না। নকআউট পর্বের দুই ম্যাচেই শেষ পেনাল্টি নিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় লক্ষ্যভেদ করে দলকে জিতিয়েছেন। এছাড়া মারিও মান্দজুকিচও ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। গোলরক্ষক সুবাসিচও দুর্দান্ত খেলছেন।
সম্ভাব্য একাদশ ও ম্যাচের কৌশল
ইংল্যান্ড : (৩-৫-২) পিকফোর্ড, ওয়াকার, স্টোনস, ম্যাগুইর, ট্রিপিয়ার, হেন্ডারসন, ডেলে আলি, লিংগার্ড, ইয়ং, স্টারলিং ও হ্যারি কেইন।
ক্রোয়েশিয়া : (৪-২-৩-১) সুবাসিচ, ভ্রাসাইকো, লোভরেন, ভিদা, স্ট্রিনিচ, রকিতিচ, রেবিচ, ক্রামারিচ, মদ্রিচ, পেরিসিচ ও মান্দজুকিচ।
ভবিষ্যদ্বাণী : শক্তির বিচারে পার্থক্যটা খুবই কম। নির্দিষ্ট কাউকে এগিয়ে রাখা কঠিন। তবে ইংল্যান্ড এগিয়ে থাকবে তাদের ঐতিহ্যের কারণে। অভিজ্ঞতার কারণে। বড় ম্যাচে চাপ সামলানোর কৌশলটা ভালো করেই জানা আছে তাদের। কিন্তু খুব যে পিছিয়ে থাকবে ক্রোয়েশিয়া তাও নয়। টানা দুটি টাই-ব্রেকার জিতে জানিয়ে দিয়েছে স্নায়ুচাপটা সামাল দিতে ভালোই পারে তারা। তাই লড়াইটা হবে বেশ হাড্ডাহাড্ডিই।
সম্ভাব্য স্কোর : ইংল্যান্ড ২-১ ক্রোয়েশিয়া
অতিরিক্ত সংযোজন :
১) মেজর টুর্নামেন্টে এর আগে দলদুটি একবার মুখোমুখি হয়েছে। ২০০৪ সালের ইউরোতে ৪-২ গোলে জয়ে পেয়েছিল ইংল্যান্ড।
২) তবে সবমিলিয়ে এটা তাদের অষ্টম লড়াই। এর আগের সাতটিতে ইংল্যান্ড জিতেছে চারবার, ক্রোয়েশিয়া দুইবার ও একবার ড্র।
৩) ১৯৯৮ সালের পর এ নিয়ে দ্বিতীয়বার সেমিফাইনাল খেলছে ক্রোয়েশিয়া।
৪) সেমির পথে দুইবার পেনাল্টি শুট আউটে জয় পেয়েছে ক্রোয়েশিয়া। এর আগে ১৯৯০ সালে দুইবার টাই-ব্রেকারে জয় পেয়েছিল ফাইনালিস্ট আর্জেন্টিনা।
৫) নক আউট পর্বে ছয় ম্যাচ খেলে ক্রোয়েশিয়া মাত্র একটি ম্যাচ হেরেছে। ১৯৯৮ সালে চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের বিপক্ষে।
৬) ইউরোপিয়ান প্রতিপক্ষের সঙ্গে আট লড়াইয়ে ওই একটিই হার ক্রোয়েশিয়ার (জয় ৫, ড্র ২)।
৭) এ নিয়ে তৃতীয়বার সেমিফাইনালে খেলছে ইংল্যান্ড। ১৯৬৬ সালে পর্তুগালকে ২-১ গোলে হারালেও ১৯৯০ সালে পশ্চিম জার্মানির কাছে টাই-ব্রেকারে হেরে যায় দলটি।
৮) মেজর টুর্নামেন্টে শেষ ৩টি সেমিফাইনাল হেরেছে ইংল্যান্ড। ইউরো ৯৬’তে জার্মানির কাছে, ১৯৯০ বিশ্বকাপে পশ্চিম জার্মানির কাছে এবং ইউরো ১৯৬৮’তে যুগোস্লাভিয়ার কাছে হারে তারা।
৯) ১৯৮২ সালের পর এক বিশ্বকাপে দুটি ইউরোপিয়ান প্রতিপক্ষকে হারাতে পারেনি ইংল্যান্ড। সেবার চেকোস্লোভাকিয়া ও ফ্রান্সের বিপক্ষে জিতেছিল দলটি।
১০) মেজর টুর্নামেন্টে শেষ ৩০টি ম্যাচে মাত্র ২টিতে হেরেছে ইংল্যান্ড (জয় ২২, ড্র ৬)।
Comments