বহিরাগত: ‘ঢুকতে পারবে না’, ‘ঢুকতে পারবে’!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গতকাল (১১ জুলাই) দাবি করে যে ‘বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারবে না’- এমন কথা তারা কখনই বলেনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কমিটির সিদ্ধান্তের বিষয়ে দেশের কিছু গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম খণ্ডিতভাবে তথ্য প্রচারের ফলে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কাউকে প্রবেশ বা গমনাগমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা করা হয় নাই।”
এছাড়াও, বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে “বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারের মাধ্যমে অশুভ শক্তিকে উৎসাহিত না করার জন্য” সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
“বহিরাগতরা বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ/প্রক্টরের পূর্বানুমতি ছাড়া ক্যাম্পাসে অবস্থান ও ঘোরাফেরা এবং কোনো ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না”- এমন বিজ্ঞপ্তির দুদিন পর নতুন এই বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হলো।
গত ৫ জুলাই রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কমিটির বৈঠকে নেওয়া সেই সিদ্ধান্ত সবাইকে অবাক করে দেয়। কেননা, ক্যাম্পাসে অনেক ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় স্থাপনা রয়েছে। সেখানে তারা প্রবেশ করতে পারবেন কী না তা নিয়ে বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন।
গত ৯ জুলাইয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস শুধুমাত্র এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত। এখানে বহিরাগতরা বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ/প্রক্টরের পূর্বানুমতি ছাড়া ক্যাম্পাসে অবস্থান ও ঘোরাফেরা এবং কোনো ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমেদ এবং অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকসহ অনেকেই এমন ঘোষণাকে দেশের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তির বিরোধী বলে অভিহিত করেছেন। কেননা, এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল।
যাহোক, নতুন বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের সিদ্ধান্তগুলোকে বিদ্যমান আইন, নীতিমালা ও পূর্ববর্তী সিদ্ধান্তগুলোর সঙ্গে সংগতি রেখে করা হয়েছে বলে জানানো হয়। ক্যাম্পাসে কোনো সমাবেশ করার আগে কর্তৃপক্ষের অনুমতির নির্দেশনাটি নতুন কিছু নয় বলেও উল্লেখ করা হয়।
Comments