ফাইনালে ওঠাকে ‘অলৌকিক’ বলছেন ক্রোয়েশিয়ান তারকা
রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলবে ক্রোয়েশিয়া, মাস খানেক আগেও এমন কথা বিশ্বাস করার লোক পাওয়া দুষ্কর হতো। অথচ সবাইকে অবাক করে দিয়ে সেই ক্রোয়েশিয়াই এখন বিশ্বকাপের ফাইনালে। সাধারণ ফুটবলপ্রেমীরা তো বটেই, নিজেদের এমন কীর্তিতে বিস্মিত হয়ে গেছেন খোদ ক্রোয়েশিয়ান ফুটবলাররাই। মারিও মানজুকিচই যেমন ক্রোয়েশিয়ার ফাইনালে ওঠাকে ‘অলৌকিক ঘটনা’ বলছেন।
অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধে গোল করে ক্রোয়েশিয়াকে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে নিয়ে গেছেন মানজুকিচ। বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছেন, ম্যাচশেষে নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে যেন এটা বিশ্বাসই হতে চাইছিল না এই জুভেন্টাস ফরোয়ার্ডের, ‘এটা অলৌকিক, অবিশ্বাস্য। শুধু গ্রেট দলগুলোই ইংল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে এক গোলে পিছিয়ে পড়েও এভাবে ফিরে আসতে পারে। আমরা পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই নিজেদের হৃদয় দিয়ে খেলেছি।’
‘সবগুলো ম্যাচে আমি যেভাবে পারফর্ম করেছি, তাতে আমি সন্তুষ্ট। আমি এখানে দলের জন্যই আছি। ডেনমার্ক ও রাশিয়ার বিপক্ষেও আমরা চাপের মধ্যে খেলেছি। আর আজ কীভাবে চাপ কাটিয়ে উঠলাম, সেটি তো দেখেছেনই সবাই। আমরা আজ সিংহের মতো খেলেছি, ফাইনালেও এভাবেই খেলব। আমরা খেলাটা উপভোগ করেছি।’
ক্রোয়েশিয়া কোচ ডালিচ অবশ্য এটিকে কোন অলৌকিক ঘটনা বলে মানতে রাজি নন। নিজেদের হৃদয় দিয়ে খেলার পুরষ্কারই এই অর্জন, এমনটাই বলছেন তিনি, ‘ক্রোয়েশিয়ার জন্য এটি ইতিহাস। আমি জানি না এর আগে এরকম ছোট কোন দেশ বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে কি না। আগামী সেপ্টেম্বরেই উয়েফা ন্যাশন্স লীগের ম্যাচে ইংল্যান্ডের মোকাবেলা করব আমরা, কিন্তু ওই ম্যাচ খেলার জন্য উপযুক্ত একটি স্টেডিয়াম ও নেই আমাদের। আমাদের এই অবকাঠামোগুলো নেই। কিন্তু আমাদের হৃদয় আছে, নিজেদের নিয়ে গর্ব আছে। আর দিনশেষে এগুলোই গুরুত্বপূর্ণ।’
এরপর সমালোচকদেরও একহাত নিয়েছেন ক্রোয়াট কোচ, ‘যে বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন ইংল্যান্ড সহজেই ফাইনালে চলে যাবে, তারা আসলে কোন বিশেষজ্ঞই নয়। বিশেষজ্ঞ হলে তারা জানতো, ক্রোয়েশিয়া ইংল্যান্ডের চেয়ে ভালো দল। আর আজকের ম্যাচে আমরা সেটি দেখিয়ে দিয়েছি।’
Comments