সুহেল ইসলামকে তুলে নেওয়া প্রসঙ্গে

দিনভর অস্বীকৃতির পর অবশেষে স্বীকার

কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম নেতা সুহেল ইসলামকে গতকাল (১২ জুলাই) শান্তিনগরের একটি বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর তা অস্বীকার করা হয় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে। পরে সন্ধ্যায় স্বীকার করে নেয় পুলিশ।
suhel islam
বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগ্ম আহ্বায়ক এপিএম সুহেল। ছবি: সংগৃহীত

কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম নেতা সুহেল ইসলামকে গতকাল (১২ জুলাই) শান্তিনগরের একটি বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর তা অস্বীকার করা হয় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে। পরে সন্ধ্যায় স্বীকার করে নেয় পুলিশ।

ডিএমপির উপকমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান বলেন, গ্রেফতারকৃত সুহেল ইসলামের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে তাকে কোন মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে তা তিনি উল্লেখ করেননি।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের স্নাতক তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সুহেল কোটা আন্দোলনের নেতৃত্ব দানকারী সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের একজন যুগ্ম আহ্বায়ক।

কোটা বিরোধী আন্দোলনের নেতাদের ওপর দেশের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থক ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের আক্রমণ ও পুলিশের গ্রেফতারের মুখে গতকাল এই ঘটনা ঘটে।

কোটাবিরোধী আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্যে গত ২৩ মে সুহেল তার ক্যাম্পাসের কাছে আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন বলে তার বন্ধুরা জানান।

এরপর, তিনি সূত্রাপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি লাকী আক্তার গতকাল (১২ জুলাই) এক ফেসবুক পোস্টে জানান, তার বাসায় ভোররাত সোয়া চারটার দিকে আট বা দশজন ডিবি পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়।

পোস্টে তিনি লিখেন, “ক্যাম্পাসে আমার ডিপার্টমেন্টের ছোটভাই এবং কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংগঠক সুহেল আমার বাসায় ছিল। তারা তাকে তুলে নিয়ে গেছে।”

এ বিষয়ে তিনি আরও লিখেন, “সুহেলকে নিয়ে যাওয়ার আগে আমি জানতে চাইলাম ওর বিরুদ্ধে অভিযোগ কী। তারা বললেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন ইস্যুতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাচ্ছেন।”

এরপর, দ্য ডেইলি স্টার থেকে যোগাযোগ করা হলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার দেবদাস ভট্টাচার্য এবং ডিএমপি’র সাইবার নিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার নাজমুল ইসলাম উভয়ই সুহেলকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

7h ago