জায়েদ-মিরাজের দারুণ বোলিংয়ে ঘুরে দাঁড়ালো বাংলাদেশ
সীমিত সুযোগ পেয়ে প্রথম দিনেই ভাল বল করেছিলেন পেসার আবু জায়েদ রাহি। দ্বিতীয় দিনের প্রথম ঘণ্টায় তিনি দেখালেন আসল ঝাঁজ। দুই পাশে সুয়িং করানোর সহজাত গুণ কাজে লাগিয়ে কাঁপিয়ে দিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং। আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যানকেই করেছেন কাবু। তার আগ্রাসনের পর বেরিয়ে যাওয়া ক্যারিবিয়ান লেজ মুড়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ আর তাইজুল ইসলাম।
জ্যামাইকা টেস্টের দ্বিতীয় দিনে প্রথম সেশনে ৬ উইকেট ফেলে স্বাগতিকদের ৩৫৪ রানে গুটিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। নিজের প্রথম স্পেল চাইলে বাধাই করে রাখতে পারেন রাহি। ৬-৩-৬-২। সাদা পোশাকে বাংলাদেশি কোন পেসার শেষ কবে এমন স্পেল করেছেন মনে করাই যে দুষ্কর। মাত্র দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামা এই পেসার তাই নিঃসন্দেহে রেখেছেন প্রভাব। পরের স্পেলে এসেও নিয়েছেন আরেকটি। পুরো ইনিংসে ১৮ ওভার বল করে ৩৮ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ৯৩ রানে ৫ উইকেট নিয়ে অবশ্য দলের সেরা বোলার মেহেদী হাসান মিরাজ।
আগের দিনই তিন উইকেট পেয়ে গিয়েছিলেন অফ স্পিনার মিরাজ। এদিন টানা দুই বলেই নিয়েছেন দুই উইকেট। ২০১৪ সালের পর দেশের বাইরে বাংলাদেশী কোন বোলারের পাঁচ উইকেট নেওয়ার প্রথম ঘটনা এটি। ২০১৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেই পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন আরেকজন স্পিনারই। কিংস্টনে পাঁচ উইকেট নেওয়া সেই তাইজুল আছেন এই টেস্টের একদশে। এবার তিনি নিয়েছেন ২ উইকেট।
৪ উইকেটে ২৯৫ রান নিয়ে দিন শুরু করা ক্যারিবিয়ানরা আর দুই রান যোগ করতেই হারায় শিমরন হেটমায়ারকে। ৮৬ রান করা এই বাঁহাতিকে বেরিয়ে যাওয়া বলে কাবু করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানান জায়েদ। খানিকপর রোস্টন চেজকে ভেতরে ঢুকা বলে এলবিডব্লিও বানিয়ে আবার উল্লাসে মাতেন জায়েদ।
দুই সেট ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে থতমত খাওয়া স্বাগতিকদের ছোবল হানেন তাইজুল। উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান শেন ডাওরিচ ক্যাচ দেন কাভারে। পরের ওভারে তাইজুলের জোড়া শিকার হয়ে ফিরে যান কেমো পল ও মিগুয়েল কামিন্স।
শেষ উইকেটে শ্যনন গ্যাব্রিয়েলকে নিয়ে রান বাড়াচ্ছিলেন অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। দিনের শুরুটা যিনি করেছিলেন সেই জায়েদই ভাঙেন ৩৫ রানের জুটি। গ্যাব্রিয়েলকে বোল্ড করে এই পেসার নেন নিজের তিন নম্বর উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: ১১২ ওভারে ৩৫৪ (প্রথম দিন শেষে ২৯৫/৪)(ব্র্যাথওয়েট ১১০, স্মিথ ২, পাওয়েল ২৯, হোপ ২৯, হেটমায়ার ৮৬, চেইস ২০, ডাওরিচ ৬, হোল্ডার ৩৩*, পল ০, কামিন্স ০, গ্যাব্রিয়েল ১২; আবু জায়েদ ৩/৩৮, সাকিব ০/৬০, মিরাজ ৫/৯৩ , তাইজুল ২/৮২, কামরুল ০/৩৪, মাহমুদউল্লাহ ০/২০)।
Comments