‘৪৫ লাখ খেলোয়াড় নিয়ে মাঠে নামবে ক্রোয়েশিয়া’
দেশটির ক্রীড়া ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ম্যাচ এটি। এমন ম্যাচের আগে দলের ঐক্যবদ্ধতা বোঝাতে গিয়ে ইভান রাকিটিচ বলেছেন, এদিন মাঠে শুধু ১১ জন নয়, বরং ৪৫ লাখ খেলোয়াড় নিয়েই মাঠে নামবে ক্রোয়েশিয়া।
মাত্র ৪৫ লাখ জনসংখ্যার ছোট্ট একটি দেশ ক্রোয়েশিয়ার। জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বকাপ ইতিহাসের দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে তারা। ম্যাচটি তাই সকল ক্রোয়েশিয়ানের জন্যই আবেগের জায়গা বলে মনে করেন রাকিটিচ, ‘কেবল ১৩-১৪ জন খেলোয়াড়ের জন্য নয়, কিংবা আমাদের স্কোয়াডের জন্য নয়, প্রত্যেক ক্রোয়েশিয়ান নাগরিকের জন্য ঐতিহাসিক এক ম্যাচ এটি। আমাদের সাথে মাঠে ৪৫ লাখ ক্রোয়েশিয়ানই থাকবে।’
এমন অর্জনে দেশটির সাধারণ মানুষ কতটা উল্লসিত, সেটিও বোঝাতে চাইলেন বার্সেলোনার এই মিডফিল্ডার, ‘ক্রোয়েশিয়া থেকে আগত ফুটেজগুলোর দিকে একবার তাকান, তাহলেই বুঝে যাবেন গত এক মাস ধরে কী চলছে দেশটিতে। এটি ভাষায় বর্ণনা করার মতো না। সবার মধ্যে যে আনন্দ, একতা, গর্ব আমরা দেখতে পেয়েছি, তা এক কথায় অবিশ্বাস্য। ৪৫ লাখ ধারণক্ষমতাসম্পন্ন কোন স্টেডিয়াম যদি থাকত, তাহলে সেটি পুরো ভরে যেত।’
আগামীকালের ফাইনালটি এই মৌসুমে রাকিটিচের ৭১ তম ম্যাচ হতে চলেছে। বার্সেলোনার হয়ে খেলেছেন ৫৫ টি, আর ক্রোয়েশিয়ার হয়ে ১৫ টি। আর কোন খেলোয়াড় গত মৌসুমে এত ম্যাচ খেলেননি। তাছাড়া ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনালটাও খেলেছেন জ্বর নিয়ে। তার দল ক্রোয়েশিয়াও এই টুর্নামেন্টে অন্য যেকোনো দলের চেয়ে বেশি সময় মাঠে থেকেছে। ফাইনালের আগে তাকে ক্লান্তি পেয়ে বসেছে কী না, এমন প্রশ্ন করা হয়েছিল তার কাছে। জবাবে রাকিটিচ জানিয়েছেন, তিনি কিংবা তার দল কেউই ক্লান্তি দ্বারা কাবু হবেন না, ‘ক্লান্তি তো দূরের কথা, এই ম্যাচের আমরা বাড়তি শক্তি নিয়ে মাঠে নামব। আমরা একজন আরেকজনের ভার বহন করব, দল হয়ে নিজেদের জীবনের সবচেয়ে বড় ম্যাচটা খেলতে নামব। নিজেদের মাথা উঁচু রেখেই আমরা মাঠ ছাড়তে চাই। কাঙ্ক্ষিত ফলাফলটা পেতে আমাদের শুধু একটু ভাগ্যের ছোঁয়া দরকার।’
Comments