যে কারণে খেলার মাঝপথে মাঠে ঢুকে পড়েছিলেন তারা

খেলার তখন ৫২ মিনিট। ২-১ গোলে এগিয়ে আছে ফ্রান্স। গোল শোধে মরিয়া ক্রোয়েশিয়া মাঝমাঠে আক্রমণ শানাতে ব্যস্ত। তখনই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় কিছুক্ষণের জন্যে থামিয়ে দিতে বাধ্য হন আর্জেন্টাইন রেফারি নিস্তর পিতানা। কারণ গ্যালারি থেকে যে চার জন হুট করে ঢুকে পড়েছেন মাঠে। নিরাপত্তাকর্মীরা পরে তাদের পাজকোলা করে বের করে নেন। খেলা শেষে একটি নারীবাদী দল এই ঘটনার দায় স্বীকার করেছে।
pitch invasion
মাঠে ঢুকে পড়া ক্ষ্যাপাটে ব্যক্তিকে সরাচ্ছেন দেজান লভরেন, পেছনে নিরাপত্তাকর্মী ছবিঃ রয়টার্স

খেলার তখন ৫২ মিনিট। ২-১ গোলে এগিয়ে আছে ফ্রান্স। গোল শোধে মরিয়া ক্রোয়েশিয়া মাঝমাঠে আক্রমণ শানাতে ব্যস্ত। তখনই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় কিছুক্ষণের জন্যে খেলা থামিয়ে দিতে বাধ্য হন আর্জেন্টাইন রেফারি নিস্তর পিতানা। কারণ গ্যালারি থেকে যে চার জন হুট করে ঢুকে পড়েছেন মাঠে। নিরাপত্তাকর্মীরা পরে তাদের পাজকোলা করে বের করে নেন। খেলা শেষে একটি নারীবাদী সংগঠন এই ঘটনার দায় স্বীকার করেছে।

এমবাপের সঙ্গে হাই ফাইভ করছেন মাঠে ঢুকে পড়া নারী

পুসি রায়ট নামের একটি ফেসবুক পেজ ও টুইটার একাউন্ট থেকে এই ঘটনার দায় স্বীকার করে নেয় তারা। রাশিয়ায় নারীবাদী আন্দোলনের করা পুসি রায়টের ভাষ্য, এই ঘটনা ঘটিয়ে তারা তাদের রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি চেয়েছে। সেই সঙ্গে তারা ছয়টি দাবিও জানিয়েছে সরকারের কাছে। ভিআইপি গ্যালারিতে বসেই তাদেখেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

চারজনের দলে ছিলেন দুজন করে নারী-পুরুষ। সবার পরনেই ছিল কালো ট্রাউজার আর সাদা শার্ট। ফ্রান্সের গোলরক্ষক হুগো লরিসের পাশ দিয়ে মাঝমাঠে ঢুকে পড়ার পর এক নারীকে দেখা গেছে কিলিয়ান এমবাপের সঙ্গে হাই-ফাইভ করতে। তবে ক্রোয়েশিয়া খেলোয়াড়রা ব্যাপারটা একদম স্বাভাবিকভাবে নেননি। ডিফেন্ডার দেজান লভরেন তো বিরক্ত হয়ে ধাক্কায় দিয়ে বসেন তাদের একজনকে।

এভাবেই দৌড়ে মাঠে ঢুকে যান তারা।

এমনিতে এবারের বিশ্বকাপ বেশ সফলভাবেই আয়োজন করেছে রাশিয়া। ফাইনালের এই ঘটনার আগে বিন্দুমাত্র সমালোচনায় পড়তে হয়নি তাদের। তবে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যেও এমনটা হয়ে যাওয়ায় শেষটায় এসে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হলো আয়োজকদের। 

 

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago