দেশে ফিরে ভালোবাসায় উদ্ভাসিত মদ্রিচরা
শিরোপা হয়তো জিততে পারেনি। কিন্তু তাতে কি? ফাইনালেও যাওয়াও কম কিছু নয়। মাত্র ২৭ বছর হয়েছে স্বাধীন হয়েছে ক্রোয়েশিয়া। আর শক্তির বিচারে অনেক পিছিয়েও ছিল তারা। তাই মদ্রিচ-রাকিতিচদের বরণ করে নিতে প্রায় পাঁচ লক্ষ মানুষ উপস্থিত ছিল জাগরেবের বিমানবন্দরে। অথচ দেশটি মোট জনসংখ্যাই ৪৫ লক্ষ!
রোববার মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে ফ্রান্সের কাছে ৪-২ গোলে হেরে রীতিমতো বিধ্বস্ত হয় ক্রোয়েশিয়া। অথচ পুরো ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল তাদের হাতেই। বলের পজিশন হতে শুরু করে ভালো আক্রমণগুলোও করেছে তারা। কিন্তু ধারা বিপরীতে আচমকা কিছু গোলে হারতে হয় তাদেরই। অধিনায়ক লুকা মদ্রিচের ভাষায় যা ছিল উদ্ভট গোল।
তাই মাথা উঁচু করেই মাঠ ছেড়েছে ক্রোয়েটরা। হারলেও সাড়া বিশ্বের কোটি কোটি দর্শকের হৃদয় জিতে নিয়েছে দলটি। আর নিজেদের দেশে তো তারাই হিরো। সত্যিকারের চ্যাম্পিয়ন তারাই। তাই রাজধানী জাগরেব রীতিমতো উৎসবের নগরীতে পরিণত।
নেচে গেয়ে আতশবাজি পুড়িয়ে জাতীয় বীরদের বরণ করে নিয়েছেন ক্রোয়েটরা। তাদের প্রায় সবার গায়ে ছিল দলের জার্সি গায়ে। কারও হাতে ছিল জাতীয় পতাকা। কে ছিল না সেই মিছিলে? শিশু থেকে বৃদ্ধ, নারী পুরুষ নির্বিশেষে সবাই এদিন বরণ করে নিয়েছেন ফুটবল বীরদের।
লাখো মানুষদের ভালবাসায় সিক্ত খেলোয়াড়রাও তাদের সঙ্গে সামিল হয়েছেন। ছাদ খোলা বাসে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে হাত নেড়ে শুভেচ্ছার জবাব দিয়েছেন।
Comments