শীর্ষ খবর

মিরপুরে গুপ্তধন?

মাটির নিচে লুকিয়ে রাখা গুপ্তধনের খোঁজে রাজধানীর মিরপুরে একটি বাড়িতে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরকে নিয়ে খোঁড়াখুঁড়ি চালাচ্ছে ঢাকা জেলা প্রশাসন ও পুলিশ।
মিরপুরে গুপ্তধনের খোঁজে বাড়ির মেঝেতে চলছে খোঁড়াখুঁড়ি। ছবি: শাহীন মোল্লা

মাটির নিচে লুকিয়ে রাখা গুপ্তধনের খোঁজে রাজধানীর মিরপুরে একটি বাড়িতে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরকে নিয়ে খোঁড়াখুঁড়ি চালাচ্ছে ঢাকা জেলা প্রশাসন ও পুলিশ।

মিরপুরের ১০ নম্বর এলাকায় একটি দোতলা বাড়ির দুইটি কক্ষের মেঝেতে আজ সকাল সাড়ে ১০টা থেকে এই খোঁড়াখুঁড়ির আরম্ভ হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনোয়ার উজ জামানের উপস্থিতিতে বিকাল ৩টা পর্যন্ত চলে কাজ। দ্য ডেইলি স্টারকে তিনি বলেন, বাড়িটি পুরনো ও জরাজীর্ণ হওয়ায় খোঁড়াখুঁড়ির আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। বাড়িটির নিরাপত্তার ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে তারা আগামীকালের মধ্যেই পুনরায় কাজ শুরু করার চেষ্টা থাকবে।

একটি সাধারণ ডায়েরিকে (জিডি) কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত। মিরপুর থানার ওসি দাদন ফকির দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, গত ১০ জুলাই কক্সবাজারের তৈয়ব নামের এক ব্যক্তি জিডিটি করেন। তার দাবি, মুক্তিযুদ্ধের পর তার পূর্বপুরুষরা পাকিস্তানে যাওয়ার আগে ওই বাড়িটির মেঝে খুড়ে সোনা লুকিয়ে রেখে যায়। এরকম জিডি হওয়ার খবর পেয়ে বাড়িটির বর্তমান মালিক মনিরুল ইসলামও ১২ জুলাই জিডি করেন। জিডিতে তিনি আইনসম্মত উপায়ে পুলিশকে বিষয়টি সমাধান করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান।

এর প্রেক্ষিতেই আজ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর ও পুলিশের সহায়তায় গুপ্তধনের সন্ধানে নামে জেলা প্রশাসন। ওসির বক্তব্য, বাড়িটি থেকে সত্যিই কোনো গুপ্তধনের দেখা মিললে তা সরকারি কোষাগারে জমা পড়বে।

একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত মনিরুল বলেন, ২০১০ সালে সেলিম রেজা নামের একজনের কাছ থেকে তিনি বাড়িটি কিনেন। দুজন কেয়ারটেকারের তত্ত্বাবধানে গত দুই বছর ধরে বাড়িটি খালি পড়ে রয়েছে। ডেভেলপারদের দিয়ে সেখানে বহুতল ভবন তৈরির প্রস্তুতি নেওয়ার মধ্যেই গুপ্তধন অভিযানে পড়ল তার বাড়ি।

Comments

The Daily Star  | English

All 41 Indian workers rescued from tunnel after 17 days

Indian rescuers today pulled out all 41 construction workers trapped inside a collapsed tunnel in the Himalayas for 17 days, hours after drilling through the debris of rock, concrete, and earth to reach them, officials said

1h ago