ওয়ানডেতে ভিন্ন কিছুর আশা দেখছেন মাশরাফি

টেস্ট সিরিজে বিপর্যস্ত বাংলাদেশ ফিরছে নিজেদের সবচেয়ে স্বস্তির ফরম্যাট ওয়ানডেতে। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার সঙ্গে ফিরছেন টেস্ট বিপর্যয়ে না থাকা কয়েকজন। এদের নিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া বাংলাদেশ দল। ফরম্যাটটা ওয়ানডে বলেই এখানে ভিন্ন কিছুর আশা দেখছেন অধিনায়কও।
গায়ানার পিচের ভাষা বোঝার চেষ্টা করছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজা। ছবি: বিসিবি

টেস্ট সিরিজে বিপর্যস্ত বাংলাদেশ ফিরছে নিজেদের সবচেয়ে স্বস্তির ফরম্যাট ওয়ানডেতে। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার সঙ্গে ফিরছেন টেস্ট বিপর্যয়ে না থাকা কয়েকজন। এদের নিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া বাংলাদেশ দল। ফরম্যাটটা ওয়ানডে বলেই এখানে ভিন্ন কিছুর আশা দেখছেন অধিনায়কও।

গায়ানায় বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় শুরু হবে দুদলের প্রথম ওয়ানডে। টেস্টে ধুঁকলেও ৫০ ওভারের ম্যাচে বেশ অভ্যস্ত বাংলাদেশ। এই ফরম্যাটে দলের সমন্বয়ও ভালো, এসব কিছু মিলিয়ে ভালো কিছুর আশা অধিনায়কের, ‘দলে নতুন কয়েকজন যোগ দিয়েছে। আশা করি, তারা এখানে ভালো ক্রিকেট খেলবে। ওয়ানডে ক্রিকেটে অনেক বেশি অভ্যস্ত আমরা। টেস্ট সিরিজে যারা ছিল এবং ওয়ানডের জন্য যারা এসেছে, সবাইকে নিয়ে দলের সমন্বয় বেশ ভালো। আশা করি প্রথম ম্যাচ থেকে সবাই তৎপর থাকবে।’

রঙিন পোশাকের ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে সবচেয়ে বিস্ফোরক দুই ব্যাটসম্যানের নাম ক্রিস গেইল ও এভিন লুইস। নিজেদের দিনে যেকোনো বোলিং আক্রমণকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার সামর্থ্য আছে তাদের। এই দুজনকে শুরুতেই থামাতে চায় বাংলাদেশ, কাজে লাগাতে চায় তাদের দুর্বলতা, ‘আমরা জানি ওয়েস্ট ইন্ডিজের টপ অর্ডারে দুজন ব্যাটসম্যান আছে, যারা ঝড় তুললে আমাদের কাজটা কঠিন। তবে আমাদের ইতিবাচক থাকতে হবে। নিজেরা যা পারি, সেসব করতে হবে। ঠিক জায়গায় বল ফেলতে হবে। ওদের দুর্বল জায়গায় বল করতে হবে। দেখা যাক। যদি টপ অর্ডারকে দ্রুত ফেরানো যায়, দারুণ হবে।’

২০০৭ বিশ্বকাপে গায়ানায় অবিস্মরণীয় একটি জয় আছে বাংলাদেশে। সুপার এইটের খেলায় সেবার দক্ষিণ আফ্রিকাকে এই মাঠেই হারিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু গত ১১ বছরে এই মাঠে আর খেলা হয়নি মাশরাফিদের,  এই মাঠকে তাই ঠিক চেনাও বলতে চাইলেন না অধিনায়ক, ‘২০০৭ সালে আমরা এখানে শেষ খেলেছি। এত দিন পর খেললে কিছু আন্দাজ করা কঠিন। তার পরও মনে হচ্ছে ২৬০-২৮০ হতে পারে ভালো স্কোর।’

দলের খবর

গায়ানার পিচে ঐতিহ্যগতভাবে স্পিনাররা কিছুটা সুবিধা পেয়ে থাকেন। এবারও তেমন কিছু হলে অবশ্য লাভ বাংলাদেশেরই। সাকিব আল হাসান, নাজমুল ইসলাম অপুর সঙ্গে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের স্পিন সেক্ষেত্রে কার্যকর হতে পারে। জ্যামাইকায় একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে ১৪ রানে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন মোসাদ্দেক, মেহেদী হাসান মিরাজ থেকে ব্যাটিং সামর্থ্যে এগিয়ে এই ম্যাচের একাদশেও থাকতে পারেন তিনি। তামিম ইকবালের সঙ্গে ওপেনিং জুটিতে অধিনায়কের প্রথম পছন্দ ছিলেন এনামুল হক বিজয়। তবে প্রস্তুতি ম্যাচে তিনি শূন্য রানে আউট হওয়ায় আর লিটন দাস ৭০ রানের ইনিংস খেলায় এই জায়গায় সিদ্ধান্তটা একটু কঠিন বাংলাদেশের। টেস্টে বাজে বোলিং করলেও প্রস্তুতি ম্যাচে ৩ উইকেট নিয়ে রঙিন পোশাকে নিজের সামর্থের জানান দিয়েছেন রুবেল হোসেন। মাশরাফি ও মোস্তাফিজের সঙ্গে তৃতীয় পেসার হিসেবে থাকছেন তিনিই। 

সম্ভাব্য বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, লিটন দাস/ এনামুল হক, সাব্বির রহমান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাকিব আল হাসান, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত,   নাজমুল ইসলাম অপু, মাশরাফি মর্তুজা, মোস্তাফিজুর রহমান ও রুবেল হোসেন।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

7h ago