তামিমের সেঞ্চুরি, সাকিবের ‘প্রায় সেঞ্চুরি’তে চ্যালেঞ্জিং স্কোর
বল ব্যাটে আসছে ধীরে, স্পিনাররা পাচ্ছেন লোভনীয় টার্ন। এমন পিচে শুরুতে উইকেট হারানোর পরও তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের রেকর্ড জুটিতে ২৭৯ রান করেছে বাংলাদেশ।
ক্যারিয়ারের দশম সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে তামিম অপরাজিত থাকেন ১৩০ রানে। ৯৭ রানের ধর্য্যশীল ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে সাকিবের। তার আগেই অবশ্য দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড করে ফেলেন তারা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে কোন সফরকারী দলের যেকোনো উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটিও এটি। শেষ দিকে নেমে ঝড়ো ব্যাট করেছেন মুশফিকুর রহিম। তার ১১ বলে ৩০ রানের ইনিংসে দুশো সত্তর ছাড়িয়ে যায় সংগ্রহ। রাসেল-হোল্ডারদের পিটিয়ে শেষ তিন ওভারেই ৫৩ রান তুলে নেয় বাংলাদেশ। ৫০ ওভার শেষে ২৭৯ রান করতে বাংলাদেশ হারায় ৪ উইকেট।
গায়ানার পিচ ঐতিহ্যগতভাবেই স্পিনারদের হয়ে কথা বলে। ২০০৭ বিশ্বকাপে এখানে বাংলাদেশের স্পিন ত্রয়ীদের হাতে কাবু হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এমন পিচে টস জিতে আগে ব্যাটিং বেছে নেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়ে প্রস্তুতি ম্যাচে কোন রান না পেলেও একাদশে তামিমের সঙ্গী হয়েছিলেন এনামুল হক বিজয়। সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি। রানের খাতা খোলার আগেই জেসন হোল্ডারের বলে জায়গায় দাঁড়িয়ে খোঁচা মেরে ক্যাচ দেন স্লিপে। ১ রানে ১ উইকেট হারানোর পর বৃষ্টিতে কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ থাকে।
বৃষ্টির পর সাবধানে এগুতে থাকেন সাকিব-তামিম। পিচের হাবভাব দ্রুতই পড়ে নিয়েছিলেন। তাই উইকেট আগলে রেখেই খেলার চেষ্টা করেছেন তারা। রান করেছেন ধুঁকে ধুঁকে। ত্রিশের ঘরে দুজনেই অবশ্য জীবন পেয়েছেন। অ্যাশলে নার্সের বলে তামিমের ক্যাচ ফেলে দেন উইকেট রক্ষক শাই হোপ। আলজেরি জোসেফের বলে স্লিপে সাকিবের ক্যাচ রাখতে পারেননি ক্রিস গেইল। ৮৪ রানে গিয়ে সাকিব পরে জীবন পেয়েছেন আরেকবার। এবার দেবেন্দ্র বিশুর বলে স্কয়ার লেগে তার সহজ ক্যাচ ছেড়ে দেন হেটমায়ার। তবে ঐ বিশুর বলেই আউট হয়েছেন সাকিব। সেঞ্চুরি থেকে তিন রান দূরে এবার ক্যাচ নিয়ে প্রায়শ্চিত করেন হেটমায়ার। তার আগেই হয়ে যায় রেকর্ড জুটি। ২০৭ রান করে দ্বিতীয় উইকেটে নতুন সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ড গড়েন সাকিব-তামিম।
চারে নেমে আবারও ব্যর্থ হয়েছেন সাব্বির রহমান। বিশুর টার্নে পরাস্ত হয়ে ক্রিজ থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন, সময়মত ফিরতে পারেননি।
তার আগেই ১৪৬ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের মন্থরতম সেঞ্চুরি তুলে নেন তামিম। শেষ দিকে হাত খুলে মেরে বলের সঙ্গে রানের ব্যবধান কমান তামিম, তাতে বেড়েছে দলের সংগ্রহও। ১৬০ বলে তামিমের ১৩০ রানের ইনিংসে ছিল ১০ চার আর তিন ছক্কা। ১২১ বলে ৯৭ রান করতে সাকিব মেরেছেন মাত্র ছয়টি চার।
Comments