পরিস্থিতির দাবি মেটাতেই এমন ব্যাটিং তামিমদের

১৪৬ বলে গিয়ে তিন অঙ্কের দেখা। শেষ দিকে মেরেও পুরো ৫০ ওভার ব্যাট করে ১৬০ বলে ১৩০ রান। ওয়ানডে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে মন্থর সেঞ্চুরির রেকর্ডও হয়েছে এতে। উইকেটের হাবভাব পড়ে এমন ব্যাটিং দরকার ছিল বলে মনে করেন টাইগার ওপেনার।
২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৪৩ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন শাহরিয়ার নাফীস। এতদিনে একদিনের ক্রিকেটে বাংলাদেশের সবচেয়ে ধীরগতির সেঞ্চুরি হয়েছিল ওটাই। তামিম কাল প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে দশম সেঞ্চুরিতে পৌঁছার দিনে বল খেলেছেন আরও তিনটা বেশি। ম্যাচ শেষে জানিয়েছেন উইকেট দ্রুত রান তোলার জন্য সহায়ক ছিল না, ‘প্রথম দশ ওভার খুবই কঠিন ছিল। আমার মনে হয়েছে ২৫ ওভারের পর থেকে উইকেট কিছুটা সহায়ক হতে থাকে। আর স্পিনাররা এখানে অনেক টার্ন পেয়েছে, ব্যাটিংটা এক কথায় সহজ ছিল না।’
এই উইকেটে দরকার ছিল স্থিতি, টিকে থেকে জুটি গড়া। আড়াইশ রান লক্ষ্য করেই এগুচ্ছিল দল। পরে মুশফিকের ঝড়ে তা বেড়ে যায় আরও, ‘আমরা জানতাম আমাদের জুটি গড়ে খেলতে হবে, সেটার জন্য সময় খরচ করতেও রাজি ছিলাম আমরা। উইকেট বুঝে আমরা একটা স্কোর ঠিক করেছিলাম। ভাগ্য ভালো মুশফিক এসে অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলেছে, যা আমাদের স্কোর ২০-৩০ রান বাড়িয়ে দিয়েছে। ’
কদিন আগেই লাল বলে এমন ধর্য্য আর স্থিতি দেখাতে পারেননি তামিমরা। দলও ভুগেছে এই কারণে। সাদা বল আর রঙিন পোশাকে ফিরে আবার চেনা ছন্দ। ফরম্যাটের কারণে এমনটা বলে মত ম্যাচ সেরা তামিমের, ‘টেস্ট সিরিজে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলি নি। এই ফরম্যাটে (ওয়ানডে) আমরা সহজে মানিয়ে পারি। আমরা আমাদের শক্তির জায়গায় বেশ পরিষ্কার। আমাদের অধিনায়কের সাথে আমরা বসেছিলাম। আমরা আমাদের সেরা ক্রিকেটটা খেলতে চেয়েছিলাম, আমার মনে হয় আমরা সেটা করতে পেরেছি। ’
Comments