গুলশান হামলার অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ, আসামি ৮ জন

গুলশান হামলার পর দুই বছর তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। অভিযোগপত্রে আট জনকে আসামি হিসেবে দেখানো হয়েছে। তাদের মধ্যে বর্তমানে ছয় জন কারাগারে ও দুজন পলাতক।
২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হোলি আর্টিজানে হামলার প্রায় ১২ ঘণ্টা পর সেনা কমান্ডোদের অভিযানের মধ্য দিয়ে জিম্মি সংকটের অবসান হয়। ছবি: সংগৃহীত

গুলশান হামলার পর দুই বছর তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। অভিযোগপত্রে আট জনকে আসামি হিসেবে দেখানো হয়েছে। তাদের মধ্যে বর্তমানে ছয় জন কারাগারে ও দুজন পলাতক।

দেশের ইতিহাসে বর্বরতম ওই জঙ্গি হামলার ঘটনায় ২০ জন নিহত হয়েছিলেন, যাদের বেশিরভাগই ছিলেন বিদেশি নাগরিক।

কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান মনিরুল ইসলাম জানান, আজ সোমবার সকালে ঢাকার আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, হামলায় সরাসরি জড়িতরা ঘটনাস্থলেই নিহত হওয়ায় বিভিন্ন তথ্য পেতে জটিলতা হচ্ছিল। সে কারণেই অভিযোগপত্র দিতে দেরি হলো।

গুলশান হামলার পর যে মামলা হয় তাতে গ্রেপ্তার হওয়া নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিমের সম্পৃক্ততা পায়নি পুলিশ। ফলে তাকে মামলার অভিযোগপত্র থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, জমা দেওয়া অভিযোগপত্রটিতে ৭৫টি আলামত পাওয়া যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে ২১১ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।

অভিযোগপত্রে যাদের নাম এসেছে তারা হলেন, রাকিবুল ইসলাম রিগান, হাদিসুর রহমান সাগর, জাহাঙ্গীর হোসেন রাজীব ওরফে রাজীব গান্ধী, আসলাম হোসেন রাশেদ ওরফে রাশ, আব্দুস সবুর খান ওরফে সোহেল মাহফুজ, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, মামুনুর রশিদ ওরফে রিপন ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সাবেক ছাত্র শরিফুল ইসলাম খালেদ। বলা হয়েছে, তারা সবাই নব্য জেএমবির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।

এদের মধ্যে প্রথম ছয় জন কারাগারে রয়েছেন ও ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অন্য দুজন এখনও পলাতক।

২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালিয়ে জিম্মি করে ২০ জনকে হত্যা করে একদল জঙ্গি। তাদের মধ্যে তিন জন বাংলাদেশি ও ১৭ জন বিদেশি নাগরিক। তাৎক্ষণিকভাবে হামলাকারীদের প্রতিহত করতে গিয়ে নিহত হয়েছিলেন দুজন পুলিশ কর্মকর্তা।

পরদিন সকালে অপারেশন থান্ডারবোল্টের মাধ্যমে ১২ ঘণ্টার এই জিম্মি সংকটের অবসান হয়। অভিযানে পাঁচ জন জঙ্গি ও রেস্টুরেন্টের এক কর্মী নিহত হয়।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

8h ago