তবু আরেকটি সুযোগ পাচ্ছেন সাব্বির?
সর্বশেষ ৬ ইনিংসে মোটে করতে পেরেছেন ৫৭ রান। ওয়ানডেতে সর্বশেষ ফিফটি ১৩ ইনিংস আগে। সময়ের হিসাবে সেটা এক বছরেরও বেশি। সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে মাঠের বাইরের ঘটনা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভক্তদের গালাগালাজ করে ফের বিতর্কে পড়া। এতকিছু সঙ্গে নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতেও কি আরেকটি সুযোগ পাচ্ছেন সাব্বির রহমান?
জাতীয় লিগের ম্যাচে কিশোরকে পিটিয়ে ঘোরোয়া ক্রিকেট থেকে ছয়মাস নিষিদ্ধের শাস্তি পেয়েছেন কদিন আগেই। দেরাদুনে আফগানিস্তান সিরিজও বাদ যায়নি। সেখানে সতীর্থ মেহেদী হাসান মিরাজকে চড় মারার খবর বেরিয়েছিল তার বিরুদ্ধে। এবার নতুন আরেক ঘটনায় নাম এসেছে সাব্বিরের। ওয়েস্ট ইন্ডিজে দ্বিতীয় ওয়ানডের পর এক ভক্তকে ফেসবুক বার্তায় নোংরা ভাষা গালিগালাজ করার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।
দুই ভক্তকে পাঠানো সাব্বিরের নোংরা গালিগালাজের একটি স্ক্রিনশট ভেসে বেড়াচ্ছে ফেসবুকে। ঘটনার সূত্রপাত দ্বিতীয় ওয়ানডেতে। ৪৯তম ওভারে ১১ বলে ১২ রান করে ফুলটস বলে আউট হন সাব্বির। পরে বাংলাদেশ হেরে যায় ৩ রানে। সাব্বিরের ফর্ম নিয়ে শাহরিয়ার নীল নামে এক ভক্ত ব্যঙ্গ করে পোস্ট দেন। সেই পোস্ট সাব্বিরের নজরে এলে তিনি ওই ভক্তকে গালাগালাজ করে বার্তা পাঠান।
‘Shabbir Rahaman Roman’ নামের আইডিতে থেকে দুই ভক্তকে সাব্বির ব্লক করে দেন। বর্তমানে তার আইডিটি ডিক্টিভেটেড করে রাখা আছে। এই ব্যাপারগুলো নজরে এসেছে বিসিবির সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরীরও, 'জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের নির্দিষ্ট গাইডলাইন দেওয়া আছে কীভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করবে। এসব মাধ্যমে ভক্তদের সঙ্গে আচার আচরণে সতর্ক হওয়া জরুরী। আমাদের ডিসিপ্লিনারি কমিটির ঘোচরে এমন কিছু আসলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
সাব্বির নতুন করে বিতর্কে জড়িয়েছেন। একইসঙ্গে তার মূল যে কাজ সেটিও করতে পারছেন না ঠিকমতো। এই বছর খেলা ৭ ওয়ানডেতে সাব্বিরের ব্যাটিং গড় ৯.৫। ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়ে প্রথম ওয়ানডেতে ৩ রান করে আউট হন। যদিও আউটে আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তের দায় দিতেই পারেন। তবে সবচেয়ে হতাশ করেছেন দ্বিতীয় ম্যাচে। ৫ ওভারে জেতার জন্য ৪০ রান দরকার ছিল দলের। এই অবস্থায় নেমে দ্রুত রান বের করতে পারেননি। চার চারটি ফুলটস পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি একটিও। ১১ বলে ১২ রান করে ক্যাচ দিয়েছেন একটি ফুলটস বলেই।
সব মিলিয়ে বাজে অবস্থায় থাকা সাব্বির আরেকটি সুযোগ পান কিনা, এটাই এখন বড় প্রশ্ন। দলে বিকল্প ব্যাটসম্যান হিসেবে আছেন লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্ত। এই দুজনেই খেলেন টপ অর্ডারে। সাব্বিরের বদলে তাদের কাউকে খেলালে আবার পাল্টাতে হবে ব্যাটিং অর্ডার। কয়েক ম্যাচ থেকেই তিন নম্বরে খেলে রান পাওয়া সাকিব আল হাসানের ব্যাটিং অর্ডার পাল্টানোর সিদ্ধান্ত নেওয়াও দলের জন্য কঠিন।
কম্বিনেশনের সুযোগে শেষ পর্যন্ত যদি সাব্বির টিকে যান তবে এই ম্যাচ হবে তার জন্য মহাপরীক্ষা। কেবল বড় কিছু করতে পারলেই দুঃসময়টা কাটাতে পারেন তিনি। নাহলে খাতায় জমা হওয়া একের পর এক ‘খারাপ’ রেকর্ডে আরও বড় শাস্তি পেতে পারেন তিনি।
Comments