যা এলো নয় বছর পর

সেই ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়েতে গিয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ৪-১ ব্যবধানে জিতেছিল বাংলাদেশ। তারপর এতগুলো বছরে দেশের বাইরে আর দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজ জেতা হয়নি। এরমধ্যে দুটি বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে আলো ছড়িয়েছে বাংলাদেশ। এবার কাটল বিদেশে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের খরাও।

সেই ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়েতে গিয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ৪-১ ব্যবধানে জিতেছিল বাংলাদেশ। তারপর এতগুলো বছরে দেশের বাইরে আর দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজ জেতা হয়নি। এরমধ্যে দুটি বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে আলো ছড়িয়েছে বাংলাদেশ। এবার কাটল বিদেশে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের খরাও।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জেতার আগে ২০০৯ সালেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে স্বাগতিকদের ৩-০ তে হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ। তবে সেসময় ক্যারিবিয়ান দলে বোর্ডের সঙ্গে ঝামেলা করে ছিলেন না মূল কোন ক্রিকেটার। বিদেশে বাংলাদেশের ওয়ানডে সিরিজ জেতার সুখস্মৃতি আছে আর দুটি। ২০০৬ সালে কেনিয়ায় আর ২০০৭ সালে জিম্বাবুয়েতে।

এবার প্রথম সারির ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে জেতাটা তাই এগিয়েই রাখতে পারেন মাশরাফি মর্তুজা।

দ্বিতীয় ম্যাচ কাছে গিয়ে হারলেও টেস্ট সিরিজের করুণ দশা প্রথম ওয়ানডে থেকেই দল কাটিয়ে উঠেছে বলে বিশ্বাস তার, ‘ ক্রিকেট মানসিকতার খেলা। আমি মনে করি ছেলেরা প্রথম ওয়ানডে থেকেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে। হ্যাঁ, আমরা দ্বিতীয় ম্যাচটি হেরেছি। ম্যাচের ৯৯ ওভার আমরা ভালো খেলেছি, কিন্তু শুধু একটি ওভার আমরা ভালো ভাবে শেষ করতে পারি নি। আর আজ অনেকটাই পেশাদারী পারফর্মেন্স করেছে সবাই।’

এই সিরিজ জেতায় বড় অবদান দলের সব সিনিয়র ক্রিকেটারদেরই। বল হাতে সবচেয়ে সেরা অধিনায়ক নিজেই। ব্যাট হাতে ভাল করা নামগুলোও সিনিয়ররাই। তরুণরা করেছেন হতাশ। মাশরাফি চান সামনে এগিয়ে আসতে হবে তরুণদেরও, ‘ছেলেরা এখন ভালো ফর্মে আছে। বিশেষ করে তামিম, সাকিব, মুশফিক ও রিয়াদ, সবাই ভালো খেলেছে। এখন তরুণদের একটু একটু করে এগিয়ে আসতে হবে। পুরো সিরিজ জুড়ে বোলাররা ভালো করেছে।’

ওয়ানডে সিরিজ শেষেই ফিরে আসবেন মাশরাফি। তবে তার আগে টি-টোয়েন্টি দলকে এই সিরিজ থেকেই নিতে পারে আত্মবিশ্বাস,  ‘এখন আমাদের টি-টুয়েন্টি সিরিজের আগে কিছুটা আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। যদিও উইন্ডিজরা অনেক ভালো টি-টুয়েন্টি দল, তবে এই ফরম্যাটে যে কোন কিছুই হতে পারে। আশা করি ছেলেরা শুরুটা ভালো করবে, আর এরপর যে কোন কিছুই হতে পারে।’

শেষ ওয়ানডেতে শনিবার সেন্ট কিটসে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৮ রানে হারিয়ে বাংলাদেশ নিশ্চিত করেছে সিরিজ জয়। সেই ২০০৯ সালের পর এই প্রথম দেশের বাইরে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ।

সবশেষ ২০০৯ সালে অগাস্টে জিম্বাবুয়েতে ৫ ম্যাচের সিরিজ বাংলাদেশ জিতেছিল ৪-১ ব্যবধানে। ওই জয়ের কদিন আগেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ক্যারিবিয়ানদের ৩-০তে হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ। অবশ্য বোর্ডের সঙ্গে দ্বন্দ্বে সেই সিরিজে ছিলেন না ওয়েস্ট ইন্ডিজের মূল ক্রিকেটাররা।

ওই দুটি আর এবারেরটি ছাড়া দেশের বাইরে বাংলাদেশের সিরিজ জয় আছে আর মাত্র দুটি। প্রথমটি ছিল ২০০৬ সালে, কেনিয়ায়। বাংলাদেশ জিতেছিল ৩-০ ব্যবধানে। এরপর ২০০৭ সালে জিম্বাবুয়ে সফরে বাংলাদেশ জিতেছিল ৩-১ ব্যবধানে।

Comments

The Daily Star  | English
economic challenges for interim government

The steep economic challenges that the interim government faces

It is crucial for the interim government to focus on setting a strong foundation for future changes.

12h ago