কয়লা আমদানি করে বড়পুকুরিয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা ভাবছে সরকার

barapukuria coal mine
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি। ছবি: কঙ্কণ কর্মকার

বড়পুকুরিয়া খনি থেকে কয়লা সরবরাহ বন্ধ থাকায় কয়লা আমদানির কথা ভাবছে সরকারের নীতি নির্ধারনী মহল। সরকার চাইছে যতদিন পর্যন্ত না দেশের একমাত্র কয়লা খনিটি থেকে কয়লা সরবরাহ স্বাভাবিক হচ্ছে ততদিন আমদানি করে হলেও বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু থাকুক।

বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব আহমদ কায়কাউস গতকাল রাজধানীতে বিদ্যুৎ ভবনে সরকারের এমন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বিকল্প হিসেবে কয়লা আমদানি করার কথা আমরা ভেবেছি।’

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নাসরুল হামিদও কয়লা আমদানির কথা বলেছেন। তিনি বলেন, কয়লা আমদানি করে সরকার মজুদ বাড়িয়ে রাখতে চায়। তবে কোথা থেকে আমদানি করা যায় সেই সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি।

কয়লা আমদানির সম্ভাব্যতা যাচাই করার জন্য গত সপ্তাহেই একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছে সরকার।

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে উত্তোলন করে রাখা ১ লাখ ৪৫ হাজার টন কয়লা গায়েব হয়ে যাওয়ার কথা সামনে আসার পর জ্বালানি সংকটের মুখে ২২ জুলাই থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য খনির পাশের ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যায়। এতে বড় ধরনের বিদ্যুৎ সংকটের মুখে পড়েছে দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলো।

বিদ্যুৎ সচিব বলেছেন, বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য উপযোগী কয়লা আমদানি করা হবে। এর জন্যে কয়লা রপ্তানিকারী দেশগুলোর সঙ্গে তারা যোগাযোগ শুরু করে দিয়েছেন। অন্যদিকে বড়পুকুরিয়া খনি থেকেও সীমিত মাত্রায় কয়লা উত্তোলন শুরু করে দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন নাসরুল হামিদ। প্রতিদিন আসছে ১০০ টন কয়লা। তিনি জানান, খুব শিগগিরই পুরোদমে কয়লা উত্তোলন শুরু হবে।

Comments

The Daily Star  | English

NBR stalemate deepens as officials resume protests

With this, the demonstration entered its sixth day, hampering trade, business operations and revenue-related activities

1h ago