নিয়মিত উইকেট হারানোই কাল হয়েছে বাংলাদেশের

১১ ওভারে ১০০ রান। রানের গতি যেভাবে আগাচ্ছিল তাতে দুইশত রানও অসম্ভব ছিল না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হলো ১৪৩। কারণ শেষ দিকে লেজের ব্যাটসম্যান ছাড়া ছিল না প্রতিষ্ঠিত কোন ব্যাটসম্যান। ইনিংসের অর্ধেক শেষ না হতেই তো সাজঘরে প্রথম সারির পাঁচ ব্যাটসম্যান। এরপরও থামেনি। নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারায় টাইগাররা। আর এ কারণেই বড় স্কোর করতে পারেনি বাংলাদেশ। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানালেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

১১ ওভারে ১০০ রান। রানের গতি যেভাবে আগাচ্ছিল তাতে দুইশত রানও অসম্ভব ছিল না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হলো ১৪৩। কারণ শেষ দিকে লেজের ব্যাটসম্যান ছাড়া ছিল না প্রতিষ্ঠিত কোন ব্যাটসম্যান। ইনিংসের অর্ধেক শেষ না হতেই তো সাজঘরে প্রথম সারির পাঁচ ব্যাটসম্যান। এরপরও থামেনি। নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারায় টাইগাররা। আর এ কারণেই বড় স্কোর করতে পারেনি বাংলাদেশ। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানালেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

স্বল্প পুঁজি নিয়েই লড়াই শুরু করেছিল বাংলাদেশ। দারুণ সূচনা এনে দেন মুস্তাফিজ। কিন্তু লাভ হয়নি। পুঁজিটাই বড় হয়ে দাঁড়ায়। সাকিবের ভাষায়, ‘আসলে আমরা যেভাবে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছি... ম্যাচের মোমেন্টাম আসলে কখনোই পাইনি। এ কারণেই আমরা বড় স্কোর করতে পারিনি। যে ধরণের উইকেট ছিল কমপক্ষে ১৭০ রান করা লাগতো।  স্বাভাবিকভাবে এখানে ১৮০ রান বা তার বেশি হয়ে থাকে। সেখানে আমরা আমরা অনেক পিছিয়ে ছিলাম। ওইখান থেকে কাম ব্যাক করা কঠিন।’

‘১১ ওভারে ১০০ রান হয়েছে কিন্তু তখন আমরা পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলি। ওইখান থেকে আসলে ফিরে আসাটা মুশকিল হয়ে যায়।  যদি না রাসেল বা ওর মতো খেলোয়াড় থাকে। যারা কি না একাই ম্যাচের পরিস্থিতি বদলে দিতে পারে। আমি বলবো যে আমাদের জন্য বড় ধাক্কা ছিল যখন আমরা গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেটগুলো হারিয়েছি। শুরুতে উইকেট হারানোর পরও আমার আর লিটনের একটা জুটি হয়েছিল। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে আমরা সেট দুই ব্যাটসম্যানই আউট হয়ে যাই। এরপর মুশফিক ভাই ও রিয়াদ ভাইয়ের একটা ভালো জুটি হয়েছিল। মুশফিক ভাই একটা ব্যাডলাকে আউট হয়ে যায়। ’ – ব্যাখ্যা দিয়ে আরও বলেন সাকিব।

অথচ ওয়ানডে সিরিজে কি দারুণই না খেলেছিল টাইগাররা। আত্মবিশ্বাসে টইটুম্বুর থাকা দলটি ধাক্কা খায় শুরু থেকেই। প্রথম বলেই নেই দুর্দান্ত ফর্মে থাকা তামিম ইকবাল। দুই বল পর শেষ সৌম্য সরকার। এরপর সাকিব-লিটনের ছোট্ট জুটির পর আবার জোড়া ধাক্কা। সে ধাক্কাও সামলানো গিয়েছিল মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে। কিন্তু দুর্ভাগ্য পিছু ছাড়েনি। আপার কাট করতে গিয়ে ফাঁদে পড়ে আউট হন মুশফিক। এরপর বাকিরা যেন তার পিছু ধরতে ব্যস্ত থাকেন।

হারতো তখনই লিপিবদ্ধ হয়ে যায়। কাজটা শেষ করতে উইন্ডিজের মাঠে নামা। দলীয় স্কোরটা আরও বড় হলে হয়তো ভিন্ন কিছু হতে পারতো। কিন্তু রাসেল যেভাবে ব্যাটিং করেছেন তাতে মনে হয়নি তাও। তাই যেন আক্ষেপই ঝরল সাকিবের কণ্ঠে, ‘এ উইকেটে ৯৫ রান (আসলে ৯১) ডিফেন্ড করা খুব কঠিন।  প্রতি ওভারে কিংবা মাঝে মধ্যে উইকেট না পেলে। তারপরও আমার মনে হয় সব মিলিয়ে আমরা খারাপ বোলিং করিনি। আসলে ওদের মতো পাওয়ার হিটার... আসলে যেটা বললাম উইকেট নিতেই থাকতে হবে। তা না হলে খুব কঠিন। রাসেলের মতো ব্যাটসম্যান যদি ৩০ বল খেলে এমন একটা মাঠে তাহলে আর কি থাকে। ’

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

6h ago