বার্সায় পাঁচ বছরে ১০০ মিলিয়ন পাউন্ড আয় করবেন পগবা!

অনেক দিন থেকেই গুঞ্জন বার্সেলোনায় আসছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ফরাসী তারকা পল পগবা। বার্সেলোনার স্পোর্টিং ডিরেক্টর এরিক আবিদালের সঙ্গে পগবার গোপনে বৈঠক হয়েছে বলেও গুঞ্জন চাউর। এবার তাতে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। ১০০ মিলিয়ন পাউন্ড আয়ের পথ দেখিয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে তাকে বার্সেলোনায় উড়িয়ে নিচ্ছে দলটি। এমন খবরই প্রকাশ করেছে স্প্যানিশ গণমাধ্যম মুন্ডো দিপার্তিভো।

তবে প্রথমে এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে স্কাই ইতালি। তাদের সংবাদ অনুযায়ী পগবা বার্সেলোনায় যেতে রাজি হয়েছেন। আর চুক্তি হলে পাঁচ বছরে বেতন বোনাসসহ মোট ১০০ মিলিয়ন পাউন্ড আয় করবেন এ ফরাসী। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শেষ হচ্ছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ট্রান্সফার। হয়ে গেলেও পগবার সঙ্গে চুক্তি করতে চলতি মাস পর্যন্ত সময় পাবে বার্সেলোনা। তবে ইউরোপের গ্রীষ্মের দলবদল শেষ হবে আগামী ৩১ আগস্ট। পগবাকে পাওয়ার জন্য তাই বেশ লম্বা সময় হাতে পাচ্ছে বার্সেলোনা।

রাশিয়া বিশ্বকাপে ফ্রান্সকে চ্যাম্পিয়ন করার পেছনে বড় ভূমিকা ছিল পগবার। তবে ম্যানইউতে কোচ হোসে মরিনহোর অধীনে খুব একটা সুখকর দিন কাটছে না তার। তার উপর ক্লাবের সাফল্যও নেই বলতে গেলেই চলে। বিশ্বকাপে দারুণ খেললেও ওল্ড ট্রাফোর্ডে নিজেকে মেলে ধরতেও পারছেন না। সবমিলিয়ে ক্লাবের উপর কিছুটা বিরক্তই এ ফরাসী। এ কারণে গুঞ্জনটা সহজেই ডানা মেলেছে।

২০১৬ সালে রেকর্ড ৮৯ মিলিয়ন পাউন্ডে জুভেন্টাস ছেড়ে ম্যানচেস্টারে এসেছিলেন তিনি। নতুন ট্রান্সফার ফি তার চেয়ে বেশ বড়ই হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। ঠিক কত এখনও তা জানা যায়নি। এদিকে বার্সেলোনার কলম্বিয়ান ডিফেন্ডার ইয়েরি মিনাকে পেতে উঠে পড়ে লেগেছেন মরিনহো। এছাড়াও আন্দ্রে গোমেজকেও চাইছেন তিনি। তাই কাজটা সহজ হয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছেন ফুটবল বোদ্ধারা। তবে মিনাকে পেতে আগ্রহী লিওঁ ও এভারটনও।

আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা ও পৌলিনহো দল ছাড়ার পর ভালো মানের মিডফিল্ডার খুঁজছে বার্সেলোনা। গ্রীষ্মের দলবদলে বেশ কিছু চমক দেখিয়েছে স্প্যানিশ জায়ান্টরা। আর্থারকে কেনার পর শেষ মুহূর্তে আগ্রহ দেখিয়ে ম্যালকম, আরতুরো ভিদালের মতো খেলোয়াড় দলে ভিড়িয়েছে তারা। পগবা কিনতে পারলে শক্তিটা নিঃসন্দেহে বাড়বে দলটির।

 

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh RMG sector

RMG sector on edge as tariff talks make no headway

The diverging outcomes threaten to create a multi-tiered tariff landscape in Asia, placing nations like Bangladesh at a serious disadvantage in the US market.

10h ago