ইয়েমেনে বিমান হামলায় নিহত কয়েক ডজন

সৌদি আরবের নেতৃত্বে জোট বাহিনীর গতকালের (৯ আগস্ট) বিমান হামলায় ইয়েমেনের সাডা প্রদেশে বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা এবং আন্তর্জাতিক রেডক্রস।
Yemen air strikes
৯ আগস্ট ২০১৮, ইয়েমেনের সাডা প্রদেশে সৌদি-নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের বিমান হামলায় আহত শিশুদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন একজন চিকিৎসক। ছবি: রয়টার্স

সৌদি আরবের নেতৃত্বে জোট বাহিনীর গতকালের (৯ আগস্ট) বিমান হামলায় ইয়েমেনের সাডা প্রদেশে বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা এবং আন্তর্জাতিক রেডক্রস।

সামরিক জোটের পক্ষ থেকে এক বার্তায় বলা হয়, বিমান হামলার লক্ষ্য ছিলো হুতি বিদ্রোহীদের মিসাইল ছোড়ার স্থান। শিশুদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করায় বিদ্রোহীদের নিন্দা করা হয় বার্তাটিতে।

বিদ্রোহীদের মুখপাত্র মোহাম্মদ আব্দুল সালাম বলেন, বেসামরিক লোকদের হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে জোট বাহিনী দেখিয়ে দিয়েছে ‘সাধারণ মানুষের প্রতি কোনো শ্রদ্ধা নেই।’

আন্তর্জাতিক রেডক্রস জানায়, উত্তর সাডা শহরের দাহিয়ান বাজারে শিশুদের বহন করা একটি বাসের ওপর হামলা চালানো হয়েছে।

হামলায় আহত মুসা আব্দুল্লাহ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, “অন্যান্য দিনের মতো বাজারে আমাদের দোকান খোলা ছিলো। ক্রেতারা আশে-পাশে ছিলেন। হামলায় যারা মারা গেছেন তারা দোকান মালিক, শিশু এবং সেই এলাকার অধিবাসী।”

এক টুইটার বার্তায় রেডক্রস জানায়, তাদের চিকিৎসকরা ২৯ শিশুর মরদেহ পেয়েছেন। শিশুদের সবার বয়স ১৫ বছরের নিচে। তবে এটি একটি হাসপাতালের হিসাব বলে বার্তায় উল্লেখ করা হয়।

সাডার স্বাস্থ্য বিভাগের একজন কর্মকর্তা আব্দুল-গনি সারিহ রয়টার্সকে বলেন, “স্কুলের শিশুরা একটি বাসে করে ফেরার পথে আক্রমণের শিকার হয়। সেই হামলায় ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আহত হয়েছে ৬৩ জন।”

তবে হামলায় নিহতদের প্রকৃত সংখ্যা বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে নিশ্চিত করে বলা হয়নি।

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

6h ago