মডেলের সঙ্গে ছবি তুলেও ট্রলের শিকার নেইমার
বেচারা নেইমার। কিছুতেই যেন পার পাচ্ছেন না। বিশ্বকাপে তাকে করা ফাউলগুলোকে অতিরঞ্জিত করে নানা ভাবেই ট্রলের শিকার হয়েছেন এ ব্রাজিলিয়ান। চলছে এখনও। ইতালিয়ান ফ্যাশন ব্র্যান্ড রিপ্লের ফটোশুটে অ্যামেরিকান মডেল এমিলি রাটাজকস্কির সঙ্গে তোলা ছবিতেও নানা রকম ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য পড়ছে।
বিশ্বকাপ শেষ হয়েছে প্রায় মাস খানেক। এর আমেজও শেষ। কিন্তু তবুও থামেনি নেইমারকে নিয়ে সমালোচনা। সামাজিক মাধ্যমে তো নেইমার চ্যালেঞ্জ নামে একটি ইভেন্ট ভাইরাল। রিপ্লের ফটোশুটের একটি ছবি নিজের ইনস্টাগ্রামের আপলোড করেছিলেন নেইমার। একটি আপলোড করছিলেন এমিলিও। দুই জনের ছবিতেই নানা ধরণের ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য করছেন ভক্তরা।
‘তাকে ছুঁইয়ো না, পড়ে যাবে।’
‘তুমি তাকে ছোঁয়ার পর সে কি পড়ে গিয়েছিল?’
‘আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি তুমি ছোঁয়ার পরও সে মেঝেতে পড়ে অভিনয় শুরু করেনি!’
‘তার ঘাড় কিংবা কোমর যাতে না ভাঙে সে দিকে নজর রেখ। আশা করি সে বেশি চিৎকার করবে না।’
‘সে কিন্তু যে কোন সময় লুটিয়ে পড়বে।’
‘দাঁড়িয়ে থাকা নেইমার, খুবই দুর্লভ ছবি।’
‘ফটোগ্রাফারকে কৃতিত্ব দিতেই হয়। বিশাল ধৈর্য নিয়ে ছবি তুলেছে। নিশ্চয় সে লম্বা সময় লুটিয়ে অভিনয় করে সময় নষ্ট করেছে।’
‘এমিলি, ওকে শিখাও, কিভাবে দাঁড়াতে হয়।’
‘একবার ছুঁলেই দেখবে সে কতটা গড়াগড়ি দিতে পারে।’
‘অবাক করা ব্যাপার, সে দাঁড়িয়ে আছে।’
-এমিলি ও নেইমারকে উদ্দেশ্য করে এমন অনেক হাজারো মন্তব্য পড়েছে তাদের ছবিতে।
রাশিয়া বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে অভিনয় করে একটি পেনাল্টি আদায় করেছিলেন নেইমার। পরে রিভিউতে তা বাতিল হয়। এরপর ফাউল শিকার হলে তাতে একটু বেশিই প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন তিনি। এরপর থেকেই তোপের মুখে আছেন নেইমার। অনেকে নানা ধরণের ভিডিও তৈরি করেও তাকে হেয় করেন।
এমনকি নিজে দেশেও সমালোচনার হাত থেকে বাঁচতে পারেননি। কিছু দিন আগে নেইমার অবশ্য এ সমালোচনার কড়া জবাবও দিয়েছিলেন, ‘আমি বিশ্বকাপে গিয়েছিলাম খেলতে কারো লাথি খেতে নয়। এ ধরণের সমালোচনা ক্ষতিকারক। মানুষ খুব দ্রুতই সমালোচনা করে। কেউ ফাউলের স্বীকার হয় আর কেউ করে।’
Comments