মোবাইলে অভিন্ন সর্বনিম্ন কলরেট ৪৫ পয়সা
সোমবার মধ্যরাত থেকে সব মোবাইল অপারেটরে কলরেট অভিন্ন সর্বনিম্ন ৪৫ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২টাকা কার্যকর করার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন।
এর ফলে মোবাইল ফোনে কথা বলার ক্ষেত্রে অফনেট ও অননেট কলরেটের কোনো পার্থক্য থাকছে না। বিটিআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. জহরুল হক বলেছেন, অননেট ও অফনেট কলরেটের পার্থক্য উঠে যাওয়ায় সব অপারেটরের জন্য সমান প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি হবে। গ্রাহকদের আকৃষ্ট করার জন্য সেবার মান বৃদ্ধি করার দিকে মনোযোগ দিতে বাধ্য হবে অপারেটরগুলো।
একই অপারেটরের নম্বরে ফোন করা হলে সেটিকে বলা হয় অননেট আর অন্য অপারেটরে ফোন করা হলে তা হয় অফনেট।
এর আগে ২০০৮ সালে ভয়েস কলের খরচের সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছিল বিটিআরসি। তখন অননেট সর্বনিম্ন ২৫ পয়সা ও অফনেট ৬০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছিল। সর্বোচ্চ কলরেট ছিল ২টাকা।
জহরুল হক বলেন, বিশ্বের কোনো দেশে অননেট ও অফনেট কলরেটে পার্থক্য নেই। আগামী অক্টোবর মাস থেকে গ্রাহকরা মোবাইল নাম্বার পোর্টেবেলিটি (এমএনপি) বা নম্বার পরিবর্তন না করেই অপারেটর পরিবর্তনের সুযোগ পাবেন।
এমএনপি সুবিধা চালু হলে যিনি ফোন করবেন তিনি অননেট কল করছেন নাকি অফনেট কল করছেন তা বোঝার আর কোনো উপায় থাকবে না।
দেশের সর্ববৃহৎ মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনের চিফ কর্পোরেট এফেয়ার্স অফিসার মাহমুদ হোসেন বলেছেন, যত দ্রুত সম্ভব নির্দেশনা বাস্তবায়নের কাজ করছেন তারা। তার মতে নতুন কলরেট কার্যকর হলেও মোবাইল অপারেটর বা বিটিআরসির আয়ে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। তবে যেসব গ্রাহক মূলত অননেট কল করেন তাদেরকে বেশি খরচ করতে হবে। আর যারা অফনেট কল করেন তারা সুবিধা পাবেন।
দুই সপ্তাহ আগে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গে বিটিআরসি ও মোবাইল অপারেটরদের বৈঠকে অননেট ও অফনেট কলচার্জ সমান করার সিদ্ধান্তটি গৃহীত হয়।
Comments