সাকিবের উপরই সিদ্ধান্তের ভার ছেড়ে দিলেন বোর্ড প্রধান
সাকিব আল হাসানের বা হাতের কনিষ্ঠা আঙুলে অস্ত্রোপচার অবধারিতই। সেটা এশিয়া কাপের আগে না পরে তা নিয়ে ছিল দোলাচল। সাকিব চাইছেন যত তাড়াতাড়ি পারা যায়, হোক অস্ত্রোপচার। বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসানের আশা এশিয়া কাপটা খেলুন সাকিব। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের ভার চিকিৎসক আর সাকিবের নিজের উপর ছেড়ে দিয়েছেন নাজমুল।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর শেষে দেশে ফেরার দিন এশিয়া কাপের আগেই অস্ত্রোপচারের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন সাকিব। সেক্ষেত্রে তাকে ছাড়াই এশিয়া কাপে নামতে হবে বাংলাদেশকে। তবে ওইদিনই বিসিবি প্রধান জানিয়েছিলেন জিম্বাবুয়ে সিরিজের সময়টাই সাকিবের অস্ত্রোপচারের জন্য উপযুক্ত সময়।
মঙ্গলবার গণমাধ্যমে নাজমুল বলেন তাদের চাওয়ার মধ্যে আসলে ভিন্নতা নেই, ‘এটা নিয়ে কোন দ্বিধার ব্যাপার নেই। আমরা একটা চাচ্ছি, সাকিব ভিন্ন কিছু চাইছে। বিষয়টি এমন নয়। ওর যে হাতে ব্যথা, আর অপারেশন লাগতে পারে এটাই তো ঠিক মত জানা ছিল না।’
দল দেশে ফেরার পর কোচের সঙ্গে বৈঠকেই বিসিবি প্রধান সাকিবের অস্ত্রোপচারের প্রয়োজনীয়তা জানতে পারেন, ‘সে যে ওয়েস্ট ইন্ডিজে খেলে আসল আর নিদাহাস কাপ খেলে আসল, আমরা তো ওর ইনজুরি নিয়ে কিছুই জানি না। এই সিরিজের ফাইনাল খেলার পর জানতে পারলাম, এর আগে তো জানাই ছিল না যে তার হাতে ব্যথা। বিষয়টা আমাদের জন্য একেবারেই নতুন। শুধু সাকিব নয়, যে কোন প্লেয়ারের হাতে যদি ব্যথা থাকে, আমরা তো অবশ্যই যত দ্রুত সম্ভব সেটার সমাধান চাইব।’
গত রোববার হজ করতে দেশ ছেড়েছেন সাকিব। বুধবার হজ করতে যাওয়ার কথা বোর্ড প্রধানেরও। তার আগে সাকিবকে নিজের সিদ্ধান্ত নিতে পরামর্শ দিয়েছেন নাজমুল, ‘সাকিব আমাকে যাওয়ার আগে ফোন করেছিল, জিজ্ঞেস করেছিল কি করবে সে। আমি বলেছি, তোমার যদি হাতে ব্যথা থাকে আর তুমি যদি মনে কর এভাবে খেললে সমস্যা হবে তাহলে তুমি অপারেশন করে ফেল। এটাও বলেছি, তুমি যদি মনে কর এশিয়া কাপে খেলা সম্ভব তাহলে এশিয়া কাপের পরে কর, দলের জন্য ভালো হবে। সিদ্ধান্ত তোমার উপর।'
গেল জানুয়ারিতে ত্রিদেশীয় কাপের ফাইনালে ফিল্ডিং করতে গিয়ে বা হাতের কনিষ্ঠা আঙুলে চোট পান সাকিব। লঙ্কানদের বিপক্ষে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ বাইরে থাকতে হয় তাকে। শুরুতে ছিলেন না নিদহাস কাপেও। অস্ট্রেলিয়া গিয়ে ইনজেকশন নিয়ে যোগ দেন দলে। ওই চোটে তার আঙুলের জোড়া নড়ে গেছে। দুই হাড়ে ঘষা লাগায় পুরো বাঁকাতে পারছেন না কনিষ্ঠা আঙুল। এতে বল করতে সমস্যা না হলেও ব্যাটিংয়ে অস্বস্তি হচ্ছে বলে জানান সাকিব।
Comments