জুভেন্টাসকে আর দুঃখ দিও না : রোনালদোর উদ্দেশ্যে বুফন

গত মৌসুমের আগের মৌসুমের কথা। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে জুভেন্টাসের বিপক্ষে জোড়া গোল করেছিলেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। ফলে ১-৪ গোলের হারে হৃদয় ভেঙ্গেছিল তুরিনদের। শুধু সেই দিন নয়, এর আগে ও পরে অনেকবারই জুভেন্টাসের স্বপ্ন ভেঙ্গেছেন তিনি। সেই রোনালদোই এখন জুভেন্টাসে। এবার যেন দলকে আর কষ্ট না দেন, এমন অনুরোধই তার কাছে করেছেন সদ্য জুভেন্টাস ছেড়ে যাওয়া গোলরক্ষক জুয়ানলুইজি বুফন।
ঘরোয়া লিগে টানা সাত বারের চ্যাম্পিয়ন জুভেন্টাস। তা সত্ত্বেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মঞ্চে গিয়ে খেই হারাচ্ছে দলটি। ভালো কিছুর আশায় চলতি মৌসুমে ১০৫ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে রিয়াল মাদ্রিদ থেকে রোনালদোকে কিনে এনেছেন তারা। ওল্ড লেডিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই তাকে ঘিরে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে দলের সমর্থকরা। স্বপ্ন দেখছেন টানা ১৭ বছরের সম্পর্ক ছিঁড়ে আশা বুফনও। দল ছাড়লেও জুভেন্টাসকে এখনও হৃদয়ে লালন করেন তিনি।
১৯৯৬ সালে জুভেন্টাসে যোগ দেওয়ার পর তিন তিনবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে খেলেছেন বুফন। কিন্তু একবারও শিরোপা স্পর্শ করতে পারেননি। শেষবার তো রোনালদোর কাছেই স্বপ্নভঙ্গ হয় তাদের। বুফন বিশ্বাস করছেন রোনালদোর হাত ধরেই এগিয়ে যাবে জুভেন্টাস। স্কাই স্পোর্টসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি আশা করছি রোনালদো তাই দিবে যা সে এর আগের ক্লাবগুলোতে দিয়ে এসেছে। অবশ্যই সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের (জুভেন্টাস) যে কষ্ট দিয়েছে তা আর দিবে না।’
অনেকের মতো রোনালদোর জুভেন্টাসে যোগ দেওয়ার গুঞ্জনটা বিশ্বাস করেননি বুফন। পরে যখন সত্যিই ওল্ড লেডিতে আসলেন তখন কিছুটা বিস্মিত হয়েছে তিনি। তবে ক্লাব প্রেসিডেন্ট ও কর্মকর্তাদের উপর বিশ্বাস ছিল তার। চলতি মৌসুমে অধরা শিরোপাগুলো জিতবেন বলে আশা করছেন পিএসজির এ ইতালিয়ান গোলরক্ষক।
২০০৭-০৮ মৌসুমে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জয়ের মূল নায়কই ছিলেন রোনালদো। তার স্বীকৃতি হিসেবে ওই মৌসুমে জিতে নেন ব্যালন ডি’অর। এরপর ইউনাইটেড থেকে ২০০৯ সালে রিয়ালে নাম লিখিয়েছিলেন রোনালদো। এ ক্লাবের হয়ে জিতেছেন চারটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা। ইউরোপের সর্বোচ্চ মর্যাদার এ আসরে ১৫৩ ম্যাচে করেছেন ১২০টি গোল।
গত নয় বছরের রিয়ালের ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতার আসনটি নিজের করে নিয়েছেন রোনালদো। ৪৩৮ ম্যাচে করেছেন ৪৫০টি গোল। চারটি চ্যাম্পিয়ন লিগ ছাড়াও দু’টি লা লিগা, দু’টি কোপা দেল রে, দু’টি স্প্যানিশ সুপার কাপ, তিনটি ইউরোপিয়ান সুপার কাপ ও তিনটি ক্লাব বিশ্বকাপ জিতেছেন। এ ক্লাবে থেকেই জিতেছেন চারটি ব্যালন ডি’অরও। এবার জুভেন্টাসের হয়ে এর চেয়েও ভালো কিছু করবেন বলেই প্রত্যাশা করছেন সবাই।
Comments