নিরাপদ সড়ক আন্দোলন: ১২ ছাত্রের জামিন ফের নামঞ্জুর

নিরাপদ সড়ক আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গ্রেপ্তার হওয়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১২ জনের জামিন আবেদন আজ ফের নামঞ্জুর হয়েছে। ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ছাত্ররা গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময়ে কয়েক দফায় জামিন চেয়ে আবেদন করলেও প্রত্যেকবারই আবেদন খারিজ হয়েছে।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন থেকে গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীদের গত ৭ আগস্ট হাতকড়া ও দড়ি দিয়ে বেঁধে আদালতে নিয়ে যায় পুলিশ। ছবি: পলাশ খান

নিরাপদ সড়ক আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গ্রেপ্তার হওয়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১২ জনের জামিন আবেদন আজ ফের নামঞ্জুর হয়েছে। ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ছাত্রদের পক্ষে গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময়ে কয়েক দফায় জামিন চেয়ে আবেদন করা হলেও প্রত্যেকবারই আবেদন খারিজ হয়েছে।

আজ যাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়েছে তারা হলেন- শাখাওয়াত হোসেন নিঝুম, শিহাব শাহরিয়ার, সাবের আহমেদ উল্লাস, আজিজুল করিম অন্তর, রাশেদুল ইসলাম, মো. হাসান, মুশফিকুর রহমান, রেদোয়ান আহমেদ, রেজা রিফাত আহমেদ, সীমান্ত সরকার ও ইফতেখার হোসেন।

আবেদনের শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট লস্কর সোহেল রানা জামিন নামঞ্জুর করেন।

রাজধানীর বাড্ডা ও ভাটারা থানায় হওয়া দুই মামলায় সাতটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ জন ও কোটা সংস্কার আন্দোলনের সাত শিক্ষার্থী বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। জামিন নামঞ্জুর হওয়ায় কারাবাস দীর্ঘ হচ্ছে তাদের।

গত ৭ আগস্ট বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ জন ছাত্রের পক্ষে জামিন আবেদন করা হয়। কিন্তু জামিন না হওয়ায় দুদিন পর ফের সবার পক্ষে জামিন চাওয়া হয়। সেবারও আবেদন খারিজ করেন আদালত। ১২ আগস্ট চার জন ছাত্রের পক্ষে ও ১৩ আগস্ট আট জন ছাত্রের পক্ষে জামিন চাওয়া হলেও ইতিবাচক আদেশ পাওয়া যায়নি।

আন্দোলনকারী ছাত্ররা কারাগারে থাকলেও হেলমেট পরে লাঠি, রামদা ও পিস্তল নিয়ে শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক হামলাকারীদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। একইভাবে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী ছাত্রনেতাদের কারাবাস দীর্ঘতর হলেও হামলাকারীরা মুক্তভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এদের বেশ কয়েকজনের পরিচয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলেও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

গত ৬ আগস্ট ইস্ট ওয়েস্ট, নর্থ সাউথ, সাউথ ইস্ট ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের সময় ২২ জন ছাত্রকে আটক করা হয়। এসময় হেলমেটের আড়ালে থাকা একদল যুবককে পুলিশের সঙ্গে থেকে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালাতে দেখা যায়।

Comments