কাতারকে হারিয়ে এশিয়ান গেমসের দ্বিতীয় রাউন্ডে বাংলাদেশ
র্যাংকিং ও শক্তিমত্তা দুই দিকেই বাংলাদেশের অনেক এগিয়ে কাতার। তার উপর ২০২২ সালের বিশ্বকাপের স্বাগতিক দেশ তারা। সে কাতারের বিপক্ষে ব্যকফুটে থেকেই ম্যাচ শুরু করে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দল। তবে নতুন ইতিহাস গড়ে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে বাংলাদেশই। ফলে প্রথমবারের মতো এশিয়ান গেমসের ইতিহাসে গ্রুপ পর্ব টপকে শেষ ষোলোতে ষোলোতে জায়গা করে নিল লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। শেষ মুহূর্তের গোলে ১-০ ব্যবধানে জয় তুলে নেয় জেমি ডের শিষ্যরা।
অথচ এমন জয়ের প্রত্যাশা করেনি বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড় হতে শুরু করে কর্মকর্তারাও। পরে ঝামেলা হবে ভেবে ২১ আগস্ট দেশে ফেরার টিকেট নিশ্চিত করে রেখেছিল তারা। কিন্তু নতুন ইতিহাস গড়ে জয় ছিনিয়ে সকল সমীকরণ উল্টে দিল জামাল ভুঁইয়ার দল।
ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তার পাকানসারি স্টেডিয়ামে প্রতিপক্ষ শক্তিশালী ভেবেই কিছুটা রক্ষণাত্মক কৌশল নিয়ে শুরু করে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষের আক্রমণে সামলে মাঝে মধ্যেই দারুণ কিছু আক্রমণ করে তারা। মাঝে গোলরক্ষককে একা পেয়ে গিয়েও গোল করতে পারেননি আগের ম্যাচের গোলদাতা মাহবুবুর রহমান সুফিল।
বাংলাদেশের জয়সূচক গোলটি আসে একেবারে ম্যাচের শেষ সময়ে। যোগ করা সময়ে মাসুক মিয়া জনির পাস থেকে অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়ার গড়ানো শটে বল জালে জড়ালে উল্লাসে মেতে ওঠে বাংলাদেশ।
এই জয়ে তিন ম্যাচে একটি জয় ও একটি ড্রতে ৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠল বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে উজবেকিস্তানের কাছে ৩-০ গোলে হারার পর দ্বিতীয় ম্যাচে থাইল্যান্ডের সঙ্গে ১-১ ড্র করেছিল বাংলাদেশ। দিনের অপর ম্যাচে উজবেকিস্তানের কাছে ১-০ গোলে হেরে বিদায় নিয়েছে থাইল্যান্ড।
এর আগেও এশিয়ান গেমসের ফুটবলে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ১৯৮২ সালে মালয়েশিয়ার , ১৯৮৬ সালে নেপালের এবং ২০১৪ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জিতেছিল দলটি। তবে কাতারের বিপক্ষে জয়টি নিঃসন্দেহে দেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা সাফল্য। এ জয়ে যে পূরণ হলো প্রথমবারের মতো নকআউট পর্বে খেলার স্বপ্ন।
Comments