জামিন পেলেন আরও ৩ শিক্ষার্থী

নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় গ্রেপ্তার হওয়া আরও তিন জন শিক্ষার্থী জামিন পেয়েছেন। এ মাসের শুরুতে আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় হওয়া মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।
এ নিয়ে ২২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ২১ জনের জামিন মঞ্জুর হলো। তবে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের মো. বায়জিদের পক্ষে এখন পর্যন্ত জামিন আবেদন করা হয়নি।
সর্বশেষ যে তিন জন জামিন পেলেন তারা হলেন, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসালাতুল ফেরদৌস, উত্তরা এশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবের আহমেদ উল্লাস, তুরাগ আইইউবিএটি’র আমিনুল এহসান বায়জিদ। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট একেএম মইনুদ্দিন সিদ্দিকি আজ তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
মো. বায়জিদ ও রিসালাতুল ফেরদৌসের বিরুদ্ধে রাজধানীর বাড্ডা থানায় মামলা হয়েছিল। আর ভাটারা থানার মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন সাবের আহমেদ উল্লাস ও আমিনুল এহসান বায়জিদ।
মার্কেটিং বিভাগের তৃতীয় সেমিস্টারের ছাত্র উল্লাসের জন্য তার বিধবা মা মির্জা শাহিনা টাঙ্গাইল থেকে ঢাকায় এসেছেন। ঈদের আগে ছেলে জামিন পাওয়ায় আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞতার কথা জানান তিনি। জামিন শুনানির সময় তার মতোই আরও বেশ কয়েকজন ছাত্রের উদ্বিগ্ন অভিভাবক আজ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অষ্টম তলার বারান্দায় ভিড় করেছিলেন। ছেলে জামিন পাওয়ায় ফেরদৌসের বাবা জিল্লুর রহমানও আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞ।
এদিকে নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনের সময় বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার আরও নয় জন শিক্ষার্থী আজ সোমবার জামিনে ছাড়া পেয়েছেন। সকাল ১০টার দিকে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তারা ছাড়া পান। বেরিয়ে এসে অভিভাবকদের দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তারা।
এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় আরও নয় জন শিক্ষার্থী জামিনে কারামুক্ত হন। শিক্ষার্থীদের মুক্তির জন্য সরকারের ওপর অব্যাহত আন্তর্জাতিক চাপের মুখে তারা ছাড়া পেলেন।
বাংলাদেশে গত কয়েক মাসে ছাত্র আন্দোলনের সময় গ্রেপ্তারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি জানিয়ে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীসহ সারা পৃথিবী থেকে বিশিষ্টজনেরা সরকার প্রধানের প্রতি খোলা চিঠি ও বিবৃতি দিয়েছেন। গতকালও শহিদুল আলমসহ নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবিতে ১১ জন নোবেল বিজয়ী ও ১৭ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন। বাংলাদেশে সকল নাগরিকের মানবাধিকার, বাকস্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সমাবেশ করার স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
Comments