তামিমের সঙ্গে ফের জম্পেশ জুটির আশায় ইমরুল

ওয়ানডেতে তামিম ইকবালের যোগ্য ওপেনিং সঙ্গী কে? গত বেশ কয়েকমাস থেকেই এই প্রশ্নের উত্তর নেই বাংলাদেশের ক্রিকেটে। সুযোগ দেওয়া হয়েছে অনেককেই, তবে কেউই পারেননি থিতু হতে। তামিমের সঙ্গে ওপেনিংয়ে সবচেয়ে বেশি রান যিনি করেছেন, সেই ইমরুল কায়েস গত কয়েকমাসে আবার খুব একটা সুযোগ পাননি। আবারও একবার সুযোগ পেলে পুরনো রসায়নটা কাজে লাগাতে চান এই ওপেনার।
এশিয়া কাপ সামনে রেখে সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে জাতীয় দলের ক্যাম্প। ৩১ জনের প্রাথমিক দলে ওপেনার আছেন বেশ কয়েকজন, আছেন ইমরুলও। সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে এনামুল হক বিজয়ের ব্যর্থ হওয়ায় এই জায়গায় একটা বদল অনুমিতই। রোববার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলন করতে এসে নিজের প্রস্তুতির হালচাল আর দলে সুযোগের প্রত্যাশা নিয়ে কথা বলেছেন ইমরুল।
চলতি বছর বাংলাদেশ খেলেছে আটটি ওয়ানডে, এর সাতটিতেই ওপেনার হিসেবে তামিমের সঙ্গী ছিলেন এনামুল। ১২.৫৮ গড়ে মাত্র ৮৮ রান করে রাখতে পারেননি অবদান। এর আগে এই জায়গায় তামিমের নিয়মিত সঙ্গী থাকা সৌম্য সরকার ছন্দ হারিয়ে ছিটকে পড়েছেন আগেই। এরমাঝে কখনো লিটন দাস, কখনো মোহাম্মদ মিঠুনকে দিয়েও চেষ্টা করা হয়েছে। তবে ঠিক জমেনি কোন জুটিই।
এই জায়গায় নিজেকে দুর্ভাগা ভাবতেই পারেন ইমরুল। সব ফরম্যাট মিলিয়েই ওপেনিংয়ে তামিম-ইমরুল জুটিতে এসেছে সবচেয়ে বেশি রান। সব পজিশনের জুটি মিলিয়েও তাদের ৪৪২২ রান নিয়ে তাদের জুটি আছে দ্বিতীয় অবস্থানে।
ওয়ানডেতে ৬১ ম্যাচ ওপেন করতে নেমে সবচেয়ে বেশি ১৯২৪ রান এনে দিয়েছে তামিম-ইমরুল জুটি। তামিমের সঙ্গে কোন এক কারণে জুটি জমে যায় ইমরুলের, তাই আবার পরিসংখ্যান সামনে এনে সুযোগ খুঁজছেন তিনি, ‘তামিমের সঙ্গে সবসময় খেলতে ভালো লাগে কারণ আমাদের পার্টনারশিপটা খুব ভালো হয়। আমরা ভাগ্যবান যে আমাদের পার্টনারশিপটা ভালো হয়েছে এবং অনেক বড় বড় রান করেছি আমরা একসঙ্গে। যদি আবার সুযোগ হয় তাহলে আবার সেই পারফরম্যান্স ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করব।’
দলের প্রয়োজনে বাঁহাতি এই ওপেনারকে খেলতে হয়েছে তিন নম্বরে। তবে ওপেনিংয়ে স্বচ্ছন্দ ইমরুল পজিশনে এমন অদলবদল নেতিবাচক হিসেবে দেখেন, ‘একটানা যদি একটা পজিশনে খেলা যায়, তাহলে সেই পজিশনের জন্য নিজেকে মানিয়ে নেয়া যায়। একটু নড়াচড়া হলে আবার নতুন করে শুরু করতে হয়। একটু সমস্যা তো হয়ই।’
ইমরুল সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে। তৃতীয় ওয়ানডেতে ১ রান করে আউট হয়েছিলেন। তার আগের ম্যাচেই খেলেছিলেন ৬৮ রানের ইনিংস। এক ম্যাচে আগে ফিফটি করেও বাদ পড়ায় পর্যাপ্ত সুযোগ না পাওয়ার অনুযোগ ঝরল তার কণ্ঠে, ‘সবাই খারাপ খেলবে ভালো খেলবে, এইসব নিয়েই ক্রিকেটারের ক্যারিয়ার। সবাই একই ধারায় থাকে না। হয়তো আমার ক্ষেত্রে একটু ভিন্ন হয়। আমি চেষ্টা করছি সব সময় নিজেকে প্রস্তুত রাখতে।’
ইমরুল এবার প্রস্তুত হচ্ছেন এশিয়া কাপের জন্য। চূড়ান্ত দলে জায়গা পেতে তাকে লড়তে হবে লিটন দাস, এনামুল হকদের সঙ্গে। ওয়েস্ট ইন্ডিজে ব্যর্থতার পর এখানে বেশ খানিকটা পিছিয়ে গেছেন এনামুল। ওই সফরেই টি-টোয়েন্টিতে ভাল করে অনেকটা এগিয়ে লিটন।
ইমরুলকে লড়তে হবে তার ব্যাটিংয়ের ধরণের জন্যও। বাদ পড়ার যুক্তি হিসেবে ইমরুলের পরিস্থিতির দাবি মেটানো ব্যাটিংয়ের ঘাটতি আলোচনায় এসেছে বারকয়েক। সব মিলিয়ে নিজেকে এবার তৈরি রাখছেন তিনি , ‘নিজেকে সবসময় প্রস্তুত করে রাখি। যখনই জাতীয় দলে সুযোগ পাব তখন সেই সুযোগটাকে কাজে লাগানোর জন্য প্রস্তুত রাখা জরুরী।’
Comments