রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে কারণ দর্শাতে বলবে সরকার
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিক পাঠানো নিয়ে সিন্ডিকেট করার অভিযোগ ওঠায় ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সিকে কারণ দর্শাতে বলবে সরকার। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম আজ এই কথা বলেছেন।
অভিবাসন নিয়ে কাজ করেন এমন সাংবাদিকদের সঙ্গে আজ মন্ত্রণালয়ে মতবিনিময় করেন নুরুল ইসলাম। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমরা তথ্য সংগ্রহ করছি। এর ওপর ভিত্তি করে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
একটি সংঘবদ্ধ চক্রের অনৈতিক ব্যবসা পরিচালনার কারণে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের শ্রমবাজার বন্ধ হয়ে গেছে-গণমাধ্যমে প্রকাশিত এমন খবরের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেশটিতে পুরোপুরিভাবে বাংলাদেশের শ্রমবাজার বন্ধ হয়নি। সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ করায় এমনটা হয়নি।
মন্ত্রীর দাবি, তারা (মালয়েশিয়া সরকার) বিদেশি কর্মী রিক্রুটমেন্ট প্রক্রিয়ায় পদ্ধতিগত পরিবর্তন আনছে। পরিবর্তনের কাজ শেষ হলেই দেশটিতে বাংলাদেশের জন্য শ্রমবাজার খুলে যাবে। তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি ২৫ থেকে ৩০ হাজার বাংলাদেশি মালয়েশিয়া যাওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। তাদের যাওয়ায় কোনো সমস্যা হবে না।
জি টু জি প্লাস চুক্তির আওতায় বাংলাদেশের প্রায় এক হাজার জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সি মালয়েশিয়ায় জনশক্তি পাঠানোর কাজ পেয়েছিল। মালয়েশিয়ার নিউ স্ট্রেইটস টাইমস-এর খবরে বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি পাঠানের খরচ কমাতে মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ। এখন শুধু ১০টি এজেন্সি বাংলাদেশের মালয়েশিয়ায় লোক পাঠাতে পারে। তিনি মনে করেন, এটি একধরনের একচেটিয়া প্রক্রিয়া।
গত ২১ আগস্ট মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, যে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি আমদানি করা হয়েছে তা আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। দুই দেশের মধ্যে মন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠকের পর এ ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত আসবে বলেও তারা সেদিন জানায়।
গত ২২ জুন মালয়েশিয়ার দ্য স্টার সংবাদপত্রের খবরে বলা হয়, বাংলাদেশি আদম ব্যবসায়ীদের নেতৃত্বে মানব পাচারকারী একটি সংঘবদ্ধ চক্র মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগসাজশের মাধ্যমে গত দুই বছরে শ্রমিকদের কাছ থেকে দুই বিলিয়ন রিঙ্গিত হাতিয়ে নিয়েছে।
বাংলাদেশি পাচারকারী এই চক্রটির রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলেও অনুসন্ধানী প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়।
তবে শ্রমিক পাঠাতে বাড়তি অর্থ আদায়ের অভিযোগ শুরু থেকেই অস্বীকার করেছে জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন-বায়রা।
Comments