‘খালেদাকে কারাবন্দী রেখে নির্বাচন নয়’

বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশে গতকাল পল্টন এলাকা ছাড়িয়ে একদিকে ফকিরাপুল থেকে অন্য দিকে নাইটিঙ্গেল মোড় পর্যন্ত লোকারণ্য হয়ে পড়ে। ছবি: আমরান হোসেন

আগামী সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই বিএনপির কারাবন্দী চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করেছেন দলটির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা। দলের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে গতকাল রাজধানীর নয়াপল্টনে বিশাল সমাবেশে তারা আরও বলেছেন, খালাদাকে কারাগারে রেখে কোনো নির্বাচন হতে পারে না।

সমাবেশ থেকে নির্বাচন কেন্দ্রিক বেশ কয়েকটি দাবি উত্থাপন করেছেন বিএনপির নেতারা। তারা বলেছেন, সবার অংশগ্রহণে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তফসিল ঘোষণার আগেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে ও সংসদ ভেঙে দিতে হবে।

তাদের অন্য দাবির মধ্যে রয়েছে: সব রাজবন্দীকে মুক্তি দিতে হবে ও তাদের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা’ মামলা প্রত্যাহার করতে হবে; নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার গঠন করতে হবে; ভোটের সময় সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে ও নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে। এসব দাবি না মানা হলে জনগণ কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে দেবে না বলেও দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারা গতকাল ঘোষণা করেন।

নির্বাচনে সরকার ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের মাধ্যমে কারচুপি করে ক্ষমতায় থাকতে চায় বলেও অভিযোগ তুলেছেন তারা। এর জন্য সব রাজনৈতিক দলসহ সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ‘স্বৈরাচারী’ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে ‘গণতন্ত্র পুনপ্রতিষ্ঠা’ করার আহ্বান জানান তারা।

নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দুপুর ২টায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এর কয়েক ঘণ্টা আগে থেকেই বিএনপির নেতাকর্মীরা প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন ও ব্যানার নিয়ে স্লোগান দিয়ে সমাবেশ স্থলে আসতে শুরু করেন। তাদের স্লোগান-ফেস্টুন-প্ল্যাকার্ডে খালেদার কারামুক্তি ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা’ মামলা প্রত্যাহারের বিষয় দুটিকে প্রাধান্য পেতে দেখা যায়।

দুপুরের তীব্র গরম উপেক্ষা করে বিপুল সংখ্যক বিএনপির নেতাকর্মী গতকালের জনসভায় যোগ দেন। পল্টন ছাড়িয়ে একদিকে ফকিরাপুল থেকে অন্য দিকে নাইটিঙ্গেল মোড় পর্যন্ত লোকারণ্য হয়ে পড়ে। দুই দিকেই জলকামান, প্রিজন ভ্যান ও সাঁজোয়া যান নিয়ে পুলিশ সতর্ক অবস্থায় থাকলেও সমাবেশে আসতে কাউকে বাধা দেয়নি তারা।

সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, কারাগারে খালেদা জিয়াকে রেখে কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না। তার মুক্তির জন্য সরকারকে অবশ্যই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে ও তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। খালেদার কিছু হয়ে গেলে সরকারকেই দায়ী থাকতে হবে।

দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে, বুকে সাহস ও শক্তি সঞ্চয় করতে হবে। আমরা আমাদের চেয়ারপারসনকে আর কারাগারে দেখতে চাই না।’

সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য ড. কামাল হোসেন ও একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর সাম্প্রতিক উদ্যোগকেও স্বাগত জানান তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
Fuel prices cut

Fuel prices cut by Tk 1 per litre

Tk 104 for diesel and kerosene, Tk 121 for petrol, and Tk 125 for octane

26m ago