হাইকোর্টের আদেশ, মন্ত্রী পুত্রের বিরুদ্ধে অবশেষে মামলা নিল পুলিশ
ময়মনসিংহ মহানগর যুবলীগ নেতা সাজ্জাদ আলম শেখ আজাদ হত্যার ঘটনায় ধর্মমন্ত্রীর ছেলে মোহিত-উর-রহমান শান্তকে প্রধান আসামী করে মামলা করা হয়েছে।
হত্যার একমাস পর হাইকোর্টের আদেশে গত ৩১ আগস্ট রাতে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি পুলিশ মামলা গ্রহণ করে।
গত ৩১ জুলাই আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নগরীর আকুয়া এলাকায় আজাদকে (৩৫) কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার দুদিন পর ২ আগস্ট নিহতের পরিবার ২৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০ জনকে আসামী করে মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
পরে আজাদের স্ত্রী দিলরুবা আক্তারের আইনজীবীর করা রিটে গত ৩০ আগস্ট হাইকোর্ট মামলা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
আগে মামলা না নেওয়ার ব্যাপারে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ তদন্ত না করে শুরুতেই মামলা নেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মনসুর আহমেদ বলেন, ‘হাইকোর্টের আদেশ পাওয়ার পরই আমরা মামলা গ্রহণ করেছি।’
দিলরুবার অভিযোগ, এই হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা শান্ত। দুজনের মধ্যে অনেক দিন ধরেই বিবাদ চলছিল। শান্তর ‘কথামত না চলায়’ আজাদকে হত্যা করা হয়।
দুই মাস আগে আজাদ শান্তর দল ছেড়ে আসে। এতে শান্ত আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে আজাদকে হুমকি দিতে থাকে বলেও দাবি করেন দিলরুবা।
অভিযোগ অস্বীকার করে শান্ত ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আগে যদি হুমকি দিয়েই থাকি তাহলে কেন তারা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেননি?’
‘তারা অভিযোগ করেছেন, আমি নাকি ফোন করে আজাদকে হুমকি দিয়েছি। তাহলে পুলিশ ট্র্যাকিং করে সেটা বের করতে পারে।’
একটি কুচক্রী মহল তার সুনাম নষ্ট করার ষড়যন্ত্র করছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে আজাদ খুন হতে পারেন। সঠিক তদন্তে তা বেরিয়ে আসবে।’
Comments