ছয়, সাতে নেমে ঝড় তুলতে প্রস্তুত মিঠুন

ওয়ানডে দলে সর্বশেষ ওপেনার হিসেবে খেলেছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন। ঘরোয়া ক্রিকেটে কখনো মিডল অর্ডার, কখনো ওপেনার হিসেবে খেলেন তিনি। তবে জাতীয় দলে এবার তাকে বিবেচনা করা হচ্ছে একেবারে নতুন ভূমিকায়। সাব্বির রহমানের জায়গায় ছয়, সাতে নেমে স্লগ করাই দায়িত্ব থাকবে মিঠুনের কাঁধে। আর সেটা ঠিকঠাক করতে মানসিক প্রস্তুতি নিচ্ছেন এই ব্যাটসম্যান।
Mohammad Mithun
মোহাম্মদ মিঠুন, ছবি: ফিরোজ আহমেদ

ওয়ানডে দলে সর্বশেষ ওপেনার হিসেবে খেলেছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন। ঘরোয়া ক্রিকেটে কখনো মিডল অর্ডার, কখনো ওপেনার হিসেবে খেলেন তিনি। তবে জাতীয় দলে এবার তাকে বিবেচনা করা হচ্ছে একেবারে নতুন ভূমিকায়। সাব্বির রহমানের জায়গায় ছয়, সাতে নেমে স্লগ করাই দায়িত্ব থাকবে মিঠুনের কাঁধে। আর সেটা ঠিকঠাক করতে মানসিক প্রস্তুতি নিচ্ছেন এই ব্যাটসম্যান।

মিঠুনকে এই পজিশনে খেলানোর ভাবনা আসে ‘এ’ দলের হয়ে আয়ারল্যান্ড সফরের তার ব্যাটিংয়ের ধরণে। সেখানে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ওপেনার হিসেবেই নেমেছিলেন তিনি। ৩৯ বলে ঝড় তুলে করেছিলেন  ৮০ রান।  

রোববার থেকে মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে এশিয়া কাপের মূল স্কোয়াডের অনুশীলন। প্রথম দিনের অনুশীলনের মাঝে নিজের নতুন ব্যাটিং পজিশন নিয়ে প্রস্তুতির কথা জানান মিঠুন, ‘আমার ক্যারিয়ারের প্রথম থেকে এখন পর্যন্ত আমি যা খেলেছি সবই ইতিবাচক খেলার চেষ্টা করেছি সবসময়। এমনকি আমি উইকেটের নেমে খুব বেশি সময় নেই না সেট হওয়ার জন্য। আমি প্রথম থেকেই রানের ধারাবাহিকতা রাখতে চেষ্টা করি। চেষ্টা করি স্ট্রাইক রোটেট করার জন্য। সুতরাং ছয় কিংবা সাত নম্বরে কিন্তু সেটাই গুরুত্বপূর্ণ যে, নেমেই স্ট্রাইক রোটেট করতে হবে। এটি আমার ন্যাচারেই আছে, তাই খুব বেশি চিন্তা করার কিছু নেই।

বল নষ্ট করা যাবে না, সুযোগ পেলে তুলতে হবে ঝড়। ছোটবেলা থেকেই নাকি এমন খেলার অভ্যাস আছে মিঠুনের, ‘আমি যেহেতু ছোট বেলা থেকে এভাবেই খেলে অভ্যস্ত। হয়তো বা আগে নতুন বলে খেলতাম বা ওপরে অনেক সময় নিয়ে খেলতাম, এখন হয়তো সময় কম পাব। তবে ছয় কিংবা সাতে খেললে ১১০-১১৫, ১২০, ১৩০ স্ট্রাইক রেটে খেলতে হবে। একেক সময় পরিস্থিতি একেকটি ডিমান্ড করবে। তবে এই ধরণের স্ট্রাইক রেটে খেললে আমার মনে হয় যথেষ্ট ভালো হবে।'

মিঠুনের নিজের পছন্দের পজিশন অবশ্য টপ অর্ডার। তবে দলের চাহিদা মেটাতে পুরোপুরি তৈরি তিনি, ‘দলের যখন প্রয়োজন হয় তখন আসলে নিজের পছন্দকে ফোকাস করার কিছু নেই। প্রত্যেকটি মানুষেরই জীবনে একটি লক্ষ্য থাকে তবে সবকিছুই যে পূরণ হবে এমন না। দলের স্বার্থে সব জায়গার জন্যই প্রস্তুত থাকতে হবে। যেখানেই আমি খেলবো সেখানেই আমি চেষ্টা করবো শতভাগ দেয়ার এবং আমার দ্বারা যেন দল উপকৃত হয় সেটি খেয়াল রাখবো।'

ওয়ানডেতে মিঠুন খুব বেশি সুযোগ পাননি। খেলেছেন মাত্র ৩ ম্যাচ। তাতে সব মিলিয়ে করতে পেরেছেন ৩৬ রান। তবে এবার পরিবর্তীত পরিস্থিতিতে মিঠুনের নতুন শুরু বলাই।

মিঠুন দলে এসেছেন সাব্বিরের জায়গায়। শেষের ওভারগুলো কাজে লাগাতে থিতু  হওয়ার সময় পাবেন না তিনি। নিজের সামর্থ্য আর সীমাবদ্ধতা জেনে তাই ভরপুর আত্মবিশ্বাসী থাকতে চান এই ব্যাটসম্যান, ‘যার জায়গায় খেলবো সে হয়তো একধরণের ভূমিকা পালন করতো, আমি ভিন্ন ভূমিকা পালন করবো। আমি পুরোপুরি আলাদা একজন মানুষ। আমি হয়তো তাঁর থেকেও ভালো করতে পারি। আমার অবশ্যই আত্মবিশ্বাসটি থাকতে হবে এবং আমার দিক থেকে সম্ভাব্য সেরাটি দেয়ার মানসিকতা থাকতে হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

5h ago