চাপের মধ্যে ম্যাচ বের করার অনুশীলনে বাংলাদেশ
![](https://bangla.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/a13t8534.jpg?itok=VJ_dQuEs×tamp=1535986859)
৬ ওভারে দলের দরকার ৬০ রান, হাতে আছে ৫ উইকেট। ব্যাট করছেন আরিফুল হক আর মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। দুজনই কিছু রান তুলে আউট হয়ে গেলেন। ক্রিজে এসে অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজা আর মেহেদী হাসান মিরাজ শেষ বলে গিয়ে জেতালেন দলকে। এরকম বিভিন্ন সমীকরণের লক্ষ্য দাঁড় করিয়ে চলল অনুশীলন। পরীক্ষা হলো ব্যাটসম্যানদের, পরীক্ষা হলো বোলারদেরও।
অনেক সময়েই হয়েছে কঠিন সমীকরণ সহজ করে কাছে গিয়েও হেরেছে বাংলাদেশ। আবার কখনো বোলাররা হাতছাড়া করেছেন স্নায়ু-ক্ষয়ী ম্যাচ। স্নায়ু পরীক্ষায় উৎরে যাতে ম্যাচ বের করা যায় সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তেমন অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল।
কখনো লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানের সামনে দেওয়া হলো শেষ ওভারে ১৩ রান তুলার চ্যালেঞ্জ। কখনো দুই টেল এন্ডারের সামনে দেওয়া হলো দুই বলে ৬ রান নেওয়ার চ্যালেঞ্জ।
ম্যাচ পরিস্থিতির এসব অনুশীলন নিয়ে ব্যাটিং কোচ নিল ম্যাকেঞ্জি ব্যাখ্যা করেছেন এই অনুশীলনের বিস্তারিত, ‘এটা আসলে প্রস্তুতির একটা অংশ এবং খেলোয়াড়দের বেশ চাপে রাখার পরীক্ষা। অনেক সময়ই তো সবাই অনুশীলন করে চিরাচরিতভাবে এবং সেখানে তেমন কিছুই থাকেনা। বাউন্ডারিতে ক্যাচ দিয়ে আউট হলেও কিছু ঘটেনা। তাই কোচ স্টিভ রোডস তাদের একটা চাপে ফেলেছেন।’
ওয়ানডে দলগুলোর মধ্যে পার্থক্য এখন প্রায় উনিশ-বিশ। তাই প্রায় ম্যাচই শেষ দিকে জমে উঠে, তৈরি হয় চাপ। আর তা ভেবেই প্রস্তুত হচ্ছে বাংলাদেশ, ‘বিশ্বের অধিকাংশ ওয়ানডে দল প্রায় সমমানের এবং সে কারণে শেষ ওভারের শেষ বল পর্যন্ত খেলা টিকে থাকে। বড় কোন ম্যাচে পরিস্থিতিগুলো কেমন হতে পারে এখান থেকে তরুণরা শিখতে পারবে। এটা বোলারদের জন্য খুবই ভাল অনুশীলন। তারা নিজেদের ফিল্ডিং সাজানোটা দেখে নিতে পারে এবং নিজের সেরা বলটাও করতে পারে। তারা পরস্পরের সম্পর্কে খুব ভাল করে জানতে পারবে এবং কে কাভারের খুব ভাল খেলে এবং কে শর্ট বলে ভাল সেটাও বুঝতে পারবে।’
Comments