ফিরে আসা প্রবাসী কর্মীদের নিয়ে গবেষণা করছে জাপান
এক সময় জাপানে ছিলেন, পরবর্তীতে স্বেচ্ছায় বা আইনগত জটিলতায় যেসব বাংলাদেশি কর্মী ফিরে এসেছেন, তাদের নিয়ে গবেষণা করছেন জাপানের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
তারা জানান টোকিওর মানবাধিকার সংগঠন এশিয়ান পিপলস ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি (এপিএফএস) এবং রিক্কিয়ো বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে বৈশ্বিক অভিবাসন, বহুজাতিক নেটওয়ার্ক এবং জাপান- বাংলাদেশ সম্পর্ক বিষয়ক এই গবেষণার কাজ শুরু হয় পাঁচ বছর আগে।
মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গবেষণা সম্পর্কে জানান গবেষণাকারী শিক্ষার্থী দলটি ও তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ।
এপিএফএস’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ইয়োশিনারি কাৎসুও’র সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন রিক্কিয়ো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মিজুকামি তেতুসও, অধ্যাপক নোরা ইয়োশিয়াকি, টোকিওর ওয়াহেদা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক নাকাইয়ামা ইউকা।
বাংলাদেশি ও জাপানিদের মধ্যে ব্যক্তিগত সম্পর্কের উন্নয়নের ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে জাপানের অভিবাসন প্রক্রিয়া দ্রুত উন্নত হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের এই গবেষণার ফলে দুই দেশই লাভবান হবে।
অধ্যাপক ইয়োশিয়াকি নোরো বলেন, অনেক বাংলাদেশি জাপানে কাজ করে ভালো পরিমাণ অর্থ আয় করেছেন। ‘তাদের অনেকে বছরে প্রায় ১১ লাখ টাকা করে দেশে পাঠাতেন। এই টাকা তারা কী কাজে লাগিয়েছেন এবং তারা কেমন আছেন সে বিষয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলব।’
২০২০ সালের টোকিও অলিম্পিক উপলক্ষে জাপানে বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরু হবে। সারা পৃথিবী থেকে প্রায় ৫ লক্ষাধিক কর্মী নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সুযোগ আছে বাংলাদেশিদেরও।
এই গবেষণার সরাসরি উদ্দেশ এটা না হলেও, তাদের রিপোর্টের উপর অনেক কিছু নির্ভর করবে। যদি রিপোর্টে দেখা যায় যে, জাপান ফেরত বাংলাদেশিরা ভালো আছেন, নিরাপদে আছেন, বাংলাদেশে তারা নিরাপদে বসবাস করছেন, তাহলে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা ও জীবনমানের একটা ইতিবাচক চিত্র ফুটে উঠবে। এতে হলি আর্টিজান কেন্দ্রীক আতঙ্ক বা ভীতি কাটবে জাপানিদের। বাংলাদেশি কর্মীদের জাপানে যাওয়ার একটা সুযোগ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে।
Comments