বর্ষসেরা পুরষ্কার রিয়ালে দেখেতে চান বার্সেলোনার রাকিতিচ

খেলেন তারা দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবে। বার্সেলোনার হয়ে ইভান রাকিতিচ আর রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলেন লুকা মদ্রিচ। কিন্তু তারপরও মদ্রিচকে বর্তমান বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় মানছেন রাকিতিচ। এমনকি তার হাতেই ফিফার বর্ষসেরা পুরষ্কার দেখতে চান তিনি। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই ক্লাবে খেললেও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একই তাঁবুতে খেলেন এ দুই তারকা।

খেলেন তারা দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবে। বার্সেলোনার হয়ে ইভান রাকিতিচ আর রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলেন লুকা মদ্রিচ। কিন্তু তারপরও মদ্রিচকে বর্তমান বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় মানছেন রাকিতিচ। এমনকি তার হাতেই ফিফার বর্ষসেরা পুরষ্কার দেখতে চান তিনি। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই ক্লাবে খেললেও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একই তাঁবুতে খেলেন এ দুই তারকা।

বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়ার স্বপ্নযাত্রায় দারুণ ভূমিকা পালন করেছেন মদ্রিচ। কম ছিলো না রাকিতিচের অবদানও। তবে বিশ্বকাপে সাফল্য ছাড়াও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়ালের শিরোপা জয়েও মুখ্য ভূমিকা ছিল মদ্রিচের। সবমিলিয়ে তাই কদিন আগে উয়েফার বর্ষসেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন মদ্রিচ।

এবার ফিফার বর্ষসেরার তালিকাতেও আছেন মদ্রিচ। তাকেই সম্ভাব্য বিজয়ী দেখছেন ফুটবলবোদ্ধারা। তার প্রতিদ্বন্দ্বী সদ্য জুভেন্টাসে যোগ দেওয়া রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক তারকা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ও লিভারপুলের মোহাম্মদ সালাহ। এ দুই তারকাকে পেছনে ফেলেই উয়েফার সেরা হয়েছিলেন মদ্রিচ। তবে সে বিষয়টি ভালো ভাবে নেননি রোনালদোর এজেন্ট জর্জ মেন্ডিস। সে ফলাফলকে ‘লজ্জাজনক’ বলেছিলেন তিনি।

তবে মদ্রিচকেই সে পুরষ্কারের একমাত্র দাবীদার বলেছেন স্বদেশী রাকিতিচ। রোনালদোর এজেন্টের এমন কথার কারণ হিসেবে শুধু ঈর্ষাই দেখছেন তিনি। নোভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাকিতিচ বলেন, ‘লা লিগার বড় তারকা লুকা (মদ্রিচ)। এবং সে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়। একজন ক্রোয়েট হিসেবে তাকে নিয়ে আমি খুবই গর্বিত।’

‘আমার বিশ্বাস বছরের শেষ পুরষ্কারটাও (ব্যালন ডি’অর) সে জিতবে। কারণ সে সত্যিই এগুলোর প্রাপ্য। আর যারা এ নিয়ে বাজে কথা বলে তারা আসলে ঈর্ষান্বিত। তাদের ঈর্ষায় মরে যেতে দেওয়া হোক। আমি তাকে নিয়ে গর্ব করি। খুশি হব পুরষ্কার তার হাতে উঠলে।’- যোগ করে আরও বলেন রাকিতিচ।

বিশ্বকাপ শেষে মদ্রিচ আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নিবেন এমন গুঞ্জন উঠেছিল। তবে এখনও জাতীয় দলের সঙ্গেই আছেন তিনি। মদ্রিচ অবসর নিলে তিনিও যে অবসর নিতে পারেন তার ইঙ্গিতও দিয়েছেন রাকিতিচ, ‘জাতীয় দলে আমরা ১১ বছর ধরে একসঙ্গে খেলি। আমাদের অনেক স্মৃতি আছে। আমি তাকে ভাইয়ের মতোই ভালোবাসি। আমি খুব খুশি সে জাতীয় দলে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি জানিনা সে অবসর নিলে আমার পক্ষ থেকে কি সিদ্ধান্ত আসবে।’

Comments

The Daily Star  | English
Chief Adviser Muhammad Yunus

Chief Adviser Yunus's UNGA trip a critical turning point

Now is the best chance for Bangladesh to strengthen international cooperation.

4h ago