জাপানে ভূমিকম্পের পর বিদ্যুৎ সংকটে টয়োটার কারখানা বন্ধ
জাপানের হোক্কাইডো দ্বীপে ৬.৭ মাত্রার ভূমিকম্পের পর বিদ্যুৎ ঘাটতির কারণে দেশটির বৃহত্তম মোটরগাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টয়োটার একটি কারখানার মোট ১৮টির মধ্যে ১৬টি সংযোজন প্ল্যান্ট বন্ধ হয়ে গেছে।
রয়টার্সের খবরে জানানো হয়, বৃহস্পতিবারের এই ভূমিকম্পে দেশটির সরকার এখন পর্যন্ত ২১ জন নিহত হওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে। ভূমিকম্পে জাপানের উত্তরের বৃহত্তম এই দ্বীপটিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রায় ৩০ লাখ বাড়িতে মানুষকে অন্ধকারে রাত কাটাতে হয়েছে। শনিবার নাগাদ দ্বীপের বেশিরভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে গেলেও শিল্প উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
টয়োটা মোটর কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভূমিকম্পে তাদের ট্রান্সমিশন ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আগামী সোমবার পর্যন্ত ১৬টি প্ল্যান্টে উৎপাদন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে সোমবারের পরও কারখানা বন্ধ থাকবে কিনা তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
গত দুই মাস থেকেই প্রকৃতির রোষানলে রয়েছে জাপান। এই অল্প সময়ের মধ্যেই বন্যা, দাবদাহ ও টাইফুনের পর এবার শক্তিশালী ভূমিকম্পের সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে দেশটির জনগণকে।
মন্ত্রিপরিষদের প্রধান সচিব ইয়োসিহিদে সুগা ২১ জনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করে জানান, আহতদের মধ্যে ছয় জনের অবস্থা গুরুতর। এছাড়াও ১৩ জন মানুষ এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
ভূমিকম্পের পর ভূমিধসে হোক্কাইডোতে বহু ঘরবাড়ি মাটিচাপা পড়েছে। গোদের ওপর বিষফোড়া হিসেবে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে রেল যোগাযোগ থেকে শুরু করে সড়কে ট্রাফিক লাইটসহ বিভিন্ন জরুরি সেবা কার্যক্রম বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।
Comments