শহিদুলের মুক্তি চেয়ে আবারও আহ্বান অরুন্ধতী ও চমস্কির

শহিদুল আলম। ছবি সৌজন্য: রেহনুমা আহমেদ

সরকারের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানোয় অভিযোগে গ্রেপ্তার বিশিষ্ট আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের মুক্তির জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে দ্বিতীয়বারের মতো আহ্বান জানিয়েছেন নোম চমস্কি ও অরুন্ধতী রায়।

ভারতীয় লেখক অরুন্ধতী রায় ও যুক্তরাষ্ট্রের ভাষাতাত্ত্বিক নোম চমস্কির সঙ্গে কানাডিয়ান লেখক নাওমি ক্লেন, আমেরিকান নাট্যকার ইভ ইন্সলার ও ভারতীয় সাংবাদিক বিজয় প্রসাদও বিবৃতিতে এই আহ্বান জানিয়েছেন। গত ৫ সেপ্টেম্বর দেওয়া বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘আমরা শহিদুলের বিরুদ্ধে করা মামলা তুলে নিয়ে তাকে দ্রুত মুক্ত করতে বাংলাদেশ সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি।’

ভারতীয় সাংবাদিক সলীল ত্রিপাঠির টুইটার একাউন্ট থেকে প্রকাশ করা ওই বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের নেতা ও দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালে বলেছিলেন, আমি তোমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছি, এবার তোমরা এটা রক্ষা কর। ‘আমরা শেখ হাসিনা ওয়াজেদকে তার বাবার কথাকে সম্মান জানানোর আহ্বান করছি।’

শহিদুল আলমের মুক্তি চেয়ে দেওয়া ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আর স্বাধীনতা রক্ষা করা মানে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষা করা।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে (৬৩) গ্রেপ্তার করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে।

দৃক গ্যালারির প্রতিষ্ঠাতা আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে গত ৫ আগস্ট বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় সাদা পোশাকের গোয়েন্দা পুলিশ। পরদিন বিকেলে ঢাকার হাকিম আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন গোয়েন্দা পরিদর্শক আরমান আলী।

এ বিষয়ে শুনানি করে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে শহিদুলকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।

আদালত প্রাঙ্গণে শহিদুল বলেন, পুলিশের হেফাজতে থাকাকালীন তাকে মারধর করা হয়, যদিও পুলিশ সে অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

গত ১৩ অগাস্ট সাত দিনের রিমান্ড শেষে আদালত শহিদুলকে কারাগারে পাঠান।

এরপর গত ৪ সেপ্টেম্বর আদালতে শহিদুল আলমের জামিনের জন্য আবেদন করা হলে তা শুনতে বিব্রত বোধ করে হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ।

নোবেল বিজয়ী অমর্ত্য সেনসহ আরও ১১ জন নোবেল বিজয়ী অতি দ্রুত শহিদুল আলমের মুক্তি চেয়েছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Mango Moment: A sweet deal for Bangladesh

Bangladesh's delicious mangoes: untapped economic potential, requiring a national strategy

14h ago