নেইমার জাদুতে এল সালভেদরকে উড়িয়ে দিল ব্রাজিল

একটি গোল করলেন। করালেন তিনটি। পুরো ম্যাচই দুর্দান্ত খেলেছেন ব্রাজিলিয়ান অধিনায়ক নেইমার। ফলে দুর্দান্ত ছিল তার দলও। হেসেখেলেই এল সালভেদরের বিপক্ষে বড় জয় পেয়েছে তারা। ৫-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে সেলেকাওরা।

একটি গোল করলেন। করালেন তিনটি। পুরো ম্যাচই দুর্দান্ত খেলেছেন ব্রাজিলিয়ান অধিনায়ক নেইমার। ফলে দুর্দান্ত ছিল তার দলও। হেসেখেলেই এল সালভেদরের বিপক্ষে বড় জয় পেয়েছে তারা। ৫-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে সেলেকাওরা।

যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ডে বুধবার শুরু থেকেই আগ্রাসী ফুটবল খেলতে থাকে ব্রাজিল। সে ধারায় মাত্র ৪ মিনিটেই এগিয়ে যায় তারা। ডি বক্সের মধ্যে এভারটন ফরোয়ার্ড রিচার্লিশনকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় দলটি। আর তা থেকে দারুণ স্পট কিকে দলকে এগিয়ে দেন নেইমার।

১৬ মিনিটেই ব্যবধান দ্বিগুণ করে ব্রাজিল। নেইমারের পাস থেকে দূরপাল্লার দুর্দান্ত বাঁকানো শটে লক্ষ্যভেদ করেন রিচার্লিশন।ছয় মিনিট পর নেইমারের শট ক্রস বারে লেগে ফিরে আসে। তবে ৩০ মিনিটে ব্যবধান বাড়ায় দলটি। নেইমারের পাস থেকে ডি বক্সের সামান্য বাইরে থেকে গড়ানো শটে বল জালে জড়ান ফিলিপ কৌতিনহো।

৩৯ মিনিটে আবার গোল পেতে পারতেন নেইমার। অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে বল পেয়ে গোলরক্ষককে একা পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। বেশ সময়ও পেয়েছিলেন। কিন্তু গোলরক্ষককে কাটাতে গিয়ে ভুল করে ফেলেন তিনি। ফলে গোল করার সুবর্ণ সুযোগ মিস করেন এ পিএসজি তারকা। তিন মিনিট পর ডি বক্সের মধ্যে ডাইভ দিয়ে হলুদ কার্ড দেখেন তিনি।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে গোল পেতে পারতো আল সেলভেদর। তবে সতীর্থের বাড়ানো বল ঠিকভাবে পা লাগাতে পারেননি ডেনিস পিনেদা। ৫০ মিনিটে ডি বক্সের মধ্যে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারকে কাটাতে গিয়ে পড়ে যান কৌতিনহো। তা থেকে বল পেয়ে যান রিচার্লিশন। তার কোণাকোণি শট জালের ঠিকানা খুঁজে পেলে ব্যবধান আরও বাড়ায় ব্রাজিল। নয় মিনিট দারুণ শট নিয়েছিলেন বদলী খেলোয়াড় এভারটন। তবে অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

৬০ মিনিটে উইলিয়ানের শট রুখে দেন সালভেদর গোলরক্ষক হেনরি হারনান্দেজ। পরের মিনিটে আবারো রুখে দেন নেইমারের শট। ৬৯ মিনিটে আবার দুর্দান্ত হারনান্দেজ। এবার বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে ফিরিয়ে দেন লুকাস পাকুয়েতার দূরপাল্লার শট।৭২ মিনিটে দুরূহ কোন থেকে দারুণ শট নিয়েছিলেন উইলিয়ান। কিন্তু এবারও তাকে গোলবঞ্চিত করেন গোলরক্ষক।

৮৩ মিনিটে গোলরক্ষককে একা পেয়েও বলা জালে জড়াতে পারেননি এভারটন। তবে ম্যাচের সময়ে গোল আদায় করে নেয় সেলেকাওরা। এবার নেইমারের কর্নার থেকে দারুণ হেডে লক্ষ্যভেদ করেন মার্কুইনোস। ফলে ৫-০ গোলের দারুণ জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে পাঁচ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।

Comments