সেই ক্রোয়েশিয়াকে আধা ডজন গোল দিল স্পেন
রাশিয়া বিশ্বকাপের রেশ তো এখনও কাটেনি। আসরের ফাইনালিস্ট ছিল তারা। দলের অধিনায়ক লুকা মদ্রিচ পেয়েছিলেন গোল্ডেন বল। ফিফার বর্ষসেরা খেতাব পাওয়ার পথেও আছেন। অথচ সেই ক্রোয়েশিয়াই কি না স্পেনের কাছে হজম করেছে ছয়টি গোল।
অথচ ম্যাচটি ছিল দলের অন্যতম সেরা তারকা ইভান রাকিতিচের শততম ম্যাচ। আর এদিনই নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় পরাজয় দেখল ক্রোয়েটরা। পুরো ম্যাচেই নিজের ছায়া হয়ে রয়েছেন দলের সেরা তারকা মদ্রিচ। মঙ্গলবার এলচের মাঠে উয়েফা নেশন্স লিগের ম্যাচে ৬-০ গোলে জিতেছে লুইস এনরিকের দল।
তবে গোল করার মতো ভালো সুযোগ আগে পেয়েছিল ক্রোয়েশিয়াই। ৫ মিনিটেই রাকিতিচের শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ১৪ মিনিটে দারুণ সুযোগ মিস করেন ইভান সান্তিনি। সিমে ভ্রাসাইকোর পাস থেকে গোলরক্ষককে একা পেয়েও বল জালে জড়াতে পারেননি এ স্ট্রাইকার। পরের মিনিটে ইসকোর ক্রসে রদ্রিগোর আলতো টোকায় জোর না থাকায় সহজেই ধরে ফেলেন গোলরক্ষক কালিনিচ।
১৭ মিনিটে গোল করার মতো সুযোগ পেয়েছিলেন ক্রোয়েশিয়ার ইভান পেরিসিচ। কিন্তু তার শট ফিরিয়ে দেন কারবাহাল। ২০ মিনিটে ইনজুরির কারণে মাঠ ছাড়েন ভ্রাসাইকো। একই সঙ্গে ক্রোয়েশিয়াও যেন হারিয়ে ফেলে মাঝ মাঠের দখল। এরপর ১১ মিনিটের ব্যবধানে তিন গোল হজম করে দলটি।
২৪ মিনিটে এগিয়ে যায় স্পেন। কারবাহালের ক্রস থেকে এগিয়ে এসে ফাঁকায় হেড করে লক্ষ্যভেদ করেন সাউল। ৩৩ মিনিটে দুর্দান্ত এক গোল দিয়ে ব্যবধান বাড়ান রিয়াল মাদ্রিদ তারকা আসেনসিও। প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে বুলেট গতির শট জালের ঠিকানা খুঁজে পায়। দুই মিনিট পর আবার আসেনসিও। যদিও গোলটি নিজের নামে পাননি তিনি। এবারও ডি বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শট বারে লেগে ফিরে গোলরক্ষকের গায়ে লেগে জালে জড়ায়।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে কারবাহালের ক্রসে ফাঁকায় হেড দিয়েছিলেন রদ্রিগো। তবে লক্ষ্যে রাখতে পারেননি। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ব্যবধান বাড়ান রদ্রিগো। আসেনসিওর পাস থেকে গোলরক্ষককে একা পেয়ে দারুণ শটে বল জালের ঠিকানা খুঁজে নেন ব্রাজিলে জন্ম নেওয়া ভেলেন্সিয়ার এ স্ট্রাইকার।
৫৭তম মিনিটে আবারো গোল পায় স্পেন। এবার দলীয় অধিনায়ক সের্জিও রামোস। আসেনসিওর কর্নার ফাঁকায় হেড দিয়ে বল জালে জড়ান এ ডিফেন্ডার। ১৩ মিনিট পর গোল পান রামোসের ক্লাব সতীর্থ ইসকো। আসেনসিওর ক্রস থেকে ডান পায়ের কোণাকোণি শটে লক্ষ্যভেদ করেন রিয়াল মিডফিল্ডার।
Comments