এই অবস্থাতেও নেমে গেলেন তামিম!
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে মারাত্মক চোট পেয়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন মাঠ থেকে। হাসপাতালে গিয়ে পরীক্ষা নিরিক্ষার পর টিম ম্যানেজমেন্ট জানায় এই ম্যাচে আর নামা হচ্ছে না তার। টিভি স্ক্রিনেও ভাসছিল তার হাত ঝুলিয়ে বসে থাকার ছবি। ৪৭তম ওভারে নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে মোস্তাফিজুর রহমান আউট হওয়ার পর সবাইকে হতবাক করে ব্যাট হাতে নেমে যান তামিম ইকবাল। এক হাতে গিয়ে ঠেকান এক বল। তাতে শেষ দিকে দল পায় মহাগুরুত্বপূর্ণ ৩২ রান।
তামিম ইকবাল মাঠে নামতেই পুরো গ্যালারি ‘তামিম, তামিম’ বলে উল্লাস করতে থাকে। সেঞ্চুরিয়ান মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গ দিয়ে দলের রান বাড়াতে সিদ্ধান্ত পালটে নেমে যান তিনি। ডান হাতে ব্যাট ধরে কোনমতে ঠেকিয়েছেন এক বল। অথচ ডান হাতের অনামিকা আঙুলেও তার রয়েছে চোট।
বাংলাদেশের রান তখন ২২৯। সুরাঙ্গা লাকমালের বলে ভূতুড়ে দৌড় দিয়ে মোস্তাফিজ আউট হওয়ার পর সবাই ধরেই নিয়েছিল ইনিংস শেষ বাংলাদেশের। মোস্তাফিজের বেরিয়ে সময় দেখা যায় ব্যাট নিয়ে বাউন্ডারি লাইনে দাঁড়িয়ে তামিম। ক্রিজে গিয়ে কোনমতে এক হাতে ঠেকিয়েছেন কেবল এক বল। দারুণ সেঞ্চুরি করে ব্যাট করতে থাকা মুশফিক আর স্ট্রাইক দেননি তামিমকে। নিজেই সামলে ভীষণ দরকারি ৩২ রান বাড়িয়েছেন দলের। থিসিরা পেরেরার এক ওভারে দুই চার আর এক ছক্কায় নেন ১৫ রান। পরের ওভারে ৫ রান নিয়ে শেষ ওভারে স্ট্রাইকে থাকেন মুশফিক। পেরেরার শেষ ওভারের প্রথম দুই বলই উড়িয়েছেন বাউন্ডারির বাইরে। পরের বলে একই ফল পেতে লঙ অনে দারুণ ক্যাচ ধরেছেন কুশল মেন্ডিস।
১ রানে ২ উইকেট হারানো বাংলাদেশ পেয়ে যায় ২৬১ রানের পূঁজি। ১৫০ বলে ১১ চার আর ৫ ছক্কায় ১৪৪ রানে অপরাজিত থেকে যান মুশফিকুর রহিম।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে সুরাঙ্গা লাকমালের বলে লেগ সাইডে খেলতে গিয়েছিলেন তামিম। বল এসে লাগে তার কব্জিতে। মুহূর্তেই ব্যথায় কাতরাতে থাকেন তিনি। মাঠে থেকে তাৎক্ষণিকভাবে বেরিয়ে যাওয়ার পর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানে সিটি স্ক্যানের পর জানা যায় তাকে এই মুহুর্তে খেলানোর ঝুঁকি নিচ্ছে না টিম ম্যানেজমেন্ট।
এশিয়া কাপ শুরুর আগেও চোট ছিল তামিমের। অনুশীলন ক্যাম্পে ডান হাতের অনামিকায় চোট পেয়েছিলেন এই ওপেনার। সিঙ্গাপুরে সিটিস্ক্যানের পর জানা গিয়েছিল সেখানে আছে সামান্য চিড়। তবে সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে তা সেরে যাওয়ায় প্রথম ম্যাচে তাকে নিয়েই নামতে পেরেছিল বাংলাদেশ।
Comments