হাথুরুর শ্রীলঙ্কার বিদায়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে বাংলাদেশ
কিছুটা দুর্ভাগ্যই যেন ভর করেছে শ্রীলঙ্কান শিবিরে। আফগানিস্তানের দেওয়া ২৫০ রানের লক্ষ্যটাও পার করতে পারল না তারা। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দুই দুইটি রান আউটেই সব শেষ হয় তাদের। ফলে এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হলো হাথুরুসিংহের দলকে। আর তাদের বিদায়ে আফগানিস্তানের সঙ্গে দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত হয় বাংলাদেশেরও।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এদিন ৯১ রানের বড় জয়ই পায় আফগানিস্তান। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে সব কটি উইকেট হারিয়ে ২৪৯ রান করে তারা। আর লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৪১.২ ওভারে ১৫৮ রান করতেই অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। ফলে ২ পয়েন্টেই দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত হয় বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই কুশল মেন্ডিসকে হারালেও দ্বিতীয় উইকেটে উপুল থারাঙ্গা ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার ব্যাটে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল শ্রীলঙ্কা। ৫৪ রানের জুটিও গড়ে তারা। কিন্তু বিপত্তি বাধে তখনই। দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে রান আউটে কাটা পরেন ধনাঞ্জয়া। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি দলটি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রানেই অলআউট হয়ে যায় অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজের দল।
বল হাতে দুর্দান্ত পারফর্ম করার পর এদিন ব্যাট হাতেও ঝলক দেখান থিসারা পেরেরা। কিন্তু তার লড়াই কেবল ব্যবধানই কমিয়েছে। সঙ্গীদের ব্যর্থতায় বড় হারেই বাড়ির পথ ধরতে হয় তাদের। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন থারাঙ্গা। ২৮ রান আসে থিসারার ব্যাট থেকে। আফগানিস্তানের পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন রশিদ খান, মোহাম্মদ নবি, মুজিব উর রহমান ও গুলবাদিন নাইব।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করে আফগানিস্তান। ৫৭ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন দুই ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদ ও ইহসানুল্লাহ। এ জুটি ভাঙেন আকিলা ধনাঞ্জয়া। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে রহমত শাহকে নিয়ে ৫০ রানের আরও একটি জুটি গড়েন ইহসানুল্লাহ। তবে দলীয় ১০৭ রানের মাথায় তিন রানের ব্যবধানে দুটি উইকেট তুলে ঘুরে দাঁড়ায় লঙ্কানরা।
কিন্তু চতুর্থ উইকেটে হাসমতুল্লাহ শাহিদিকে নিয়ে রহমতের ৮০ রানের জুটিতে লড়াইয়ের পুঁজি পেয়ে যায় আফগানিস্তান। শেষদিকে থিসারা পেরেরা তোপে অবশ্য বড় সংগ্রহ করতে পারেনি তারা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭২ রানের ইনিংস খেলেন রহমত। এছাড়া ইহসানুল্লাহ ৪৫ ও হাসমতুল্লাহ ৩৭ রান করেন। শ্রীলঙ্কার পক্ষে ৫৫ রানের খরচায় ৫টি উইকেট নেন থিসারা। এছাড়া আকিলা পান দুটি উইকেট।
Comments