তামিমের না থাকাতেও ইতিবাচক দিক দেখছেন রোডস

steve rhodes
দুবাই ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে স্টিভ রোডস। ছবি: একুশ তাপাদার

সাম্প্রতিক ফর্ম কিংবা অতীত রেকর্ড। সব বিচারেই তামিম ইকবাল দলের প্রধান ব্যাটসম্যানদের একজন। ওপেনিংয়ে তো তামিমের বিকল্প এখনো তৈরিই হয়নি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে চোট পেয়ে এই ওপেনারের এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে যাওয়া নিয়ে হা-হুতাশই স্বাভাবিক। তবে এসবের মধ্যেও ইতিবাচক দিক খুঁজে পাচ্ছেন প্রধান কোচ স্টিভ রোডস।

বাম হাতে একাধিক ফ্র্যাকচার থাকায় অন্তত চার সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে তামিম। মঙ্গলবার ইনজুরি নিয়ে দুবাই থেকে দেশে ফিরে গেছেন তিনি। তার না থাকাটার সমাধান কি? এই প্রশ্ন এখনো বেশ বড় হয়ে রয়ে গেছে।  মঙ্গলবার দুপুরে দুবাইয়ের হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বসে তার সমাধান দিয়েছেন তিনি।

রোডস অবশ্য হা হুতাশ নিয়েই থেমে থাকতে রাজী নন। তার দর্শন বলছে, এতেও আছে ইতিবাচক দিক,   ‘তামিমের ছিটকে পড়াটা দেশের জন্য দুর্ভাগ্যজনক, দলের মনোবলেও আঘাত। তবুও জীবনের ধারাই হচ্ছে, যখন একজনের জন্য দরজা বন্ধ হবে, তখন অন্যজনের জন্য সেই দরজা খোলে যায়। এটা অন্য আরেকজন সফল হওয়ার সুযোগ দেবে।’

তামিমের বিকল্প কেউ হতে পারেননি। তবে মুমিনুল হক কিংবা নাজমুল হোসেন শান্ত অনেকদিন থেকেই অপেক্ষায় আছেন একটা সুযোগের। তাদের দিকে ইঙ্গিত করেই কোচ দেখছেন আশার আলো, ‘এখানে অনেকে আছে নিজেদের নামটা আলোতে আনতে চায় কিন্তু ওইভাবে সুযোগ পাচ্ছে না। দুঃখজনক হলেও, এইক্ষেত্রে তামিমের চোটই অন্য আরেকজনকে সেই সুযোগটা করে দিচ্ছে।’

তামিম ইকবালের জায়গায় লিটন দাসের সঙ্গে ওপেনিং সঙ্গী হওয়ার দৌড়ে মুমিনুল হক ও নাজমুল হোসেন শান্ত। এই দুই ব্যাটসম্যানকে নিজেদের সহজাত খেলার লাইসেন্স দিতে চান কোচ,  ‘আমি তাকে (শান্ত বা মুমিনুল) তামিমের মত খেলতে বলব না। আমি বলব তার মত করেই খেলতে। শান্ত বা মুমিনুলকে তাদের মতো খেলতে দিতে চাই। ভালো একটা শুরু করা খুব প্রয়োজন, কিন্তু ওয়ানডে ক্রিকেটের মূল অংশ হচ্ছে মাঝের সময়টা। মাঝের ওভারগুলোতে উইকেট হারালে প্রত্যাশিত স্কোর করা যায় না।’

গেল ম্যাচে শুরুতে টপাটপ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। একটা বড় জুটির পর উইকেট পড়েছে মাঝের ওভারগুলোতেও। তবে মুশফিকুর রহিমের অনবদ্য ইনিংসে আড়াল পড়ে গেছে এসব ক্ষত। সব ম্যাচে তো আর মুশফিক খেলে দেবেন না তাই ওপেনারদে কাছ থেকে মজবুত ভিত তৈরি করার প্রত্যাশায় কোচ, ‘গত ম্যাচে মুশফিকুর রহিমের দুর্দান্ত একটা ইনিংস অবস্থা বদলে দিয়েছে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আমরা মাঝের ওভারেও উইকেট খুইয়েছি। শান্ত বা মুমিনুলের কাজ হবে একটা ভিত তৈরি করা। তারা জানে পাওয়ার প্লেতে কীভাবে রান বাড়াতে হয়। হতে পারে লিটনকে ইনিংসের চালিকা শক্তি হয়ে খেলতে হবে।’

‘সবাই জানে কীভাবে খেলতে হবে। দলের পরিকল্পনার সঙ্গে খেলোয়াড়দের মানিয়ে নেওয়া খুব জরুরী।’

 

Comments

The Daily Star  | English

Lives on hold: Workers await reopening of closed jute mills

Five years on: Jute mill revival uneven, workers face deepening poverty

14h ago