‘বোলিংয়ে মোমেন্টাম হারানোর প্রভাব পড়েছে ব্যাটিংয়ে’

বাংলাদেশ-আফগানিস্তান

দারুণ বল করে আফগানিস্তানকে চেপে ধরেছিল বাংলাদেশ৷ ৪০ ওভার পর্যন্ত ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল বাংলাদেশের হাতেই। ১৬০ রান আফগানদের ৭ উইকেট উপড়ে ম্যাচে তখন বাংলাদেশের দাপট। এরপরই রশিদ খান আর গুলাবদিন নাইবের ব্যাটে বদলে যায় দৃশ্যপট।  অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজা মনে করছেন ম্যাচের লাগাম হারিয়ে ফেলায় কাল হয়েছে এই সময়টাই।

শেষ ৫৫ বলে আফগানিস্তান তুলেছে ৯৫ রান, হারায়নি কোন উইকেট। শেষ পাঁচ ওভারে ৫৭ রান। ওইসময় তাণ্ডব চালিয়ে ৩২ বলে ৫৭ রান করে ফেলেন রশিদ। নাইব অপরাজিত থাকেন ৪২ রানে।

কিছুটা গা ছাড়া ভাবেই কি অমন রান বিলিয়ে দেওয়া?  মাশরাফির মতে গুরুত্বহীন ম্যাচ হলেও জিততেই নেমেছিলেন তারা, ছিলেন ফোকাসডও।  কিন্তু ডেথ ওভারেই আসলে সব তালগোল ফেলেছেন তারা, ‘আমার কাছে মনে হয় না ফোকাস কম ছিল। জিততেই চেয়েছিলাম আমরা। ৪০ ওভার পর্যন্ত আমরা ঠিকঠাকই ছিলাম। তার পর ওরা এগিয়ে গেছে।’

‘আমার মনে হয় বোলিংয়ে মোমেন্টাম হারানোর পর তার প্রভাব পড়েছে ব্যাটিংয়েও, ক্রিকেটে আসলে এরকমটা হয়। ওইসময় যারা বল করেছি তাদের আরও দায়িত্ব নেওয়া দরকার ছিল।’

মাঝরাতে গুরুত্বহীন ম্যাচ শেষ হওয়ার পরদিনই নামতে হবে সুপার ফোরের ম্যাচে। পরের ম্যাচটা মাথায় বেশি থাকায় কিছুটা সংশয় থাকার কথাও আড়াল করলেন না অধিনায়ক, ‘সংশয় বলতে, এটাই ছিল যে আজকে খেলে আবার কালকে খেলতে হবে। কিভাবে ম্যাচটিকে নেব আমরা, এটি বোঝার ব্যাপার ছিল। তবে হেরে যাওয়ার পর অজুহাত দিয়ে লাভ নেই।’

তবু আফগানদের কাছে এমন বিধ্বস্ত হওয়া প্রত্যাশিত নয় মোটেও। মাশরাফি সব মেনে আর অজুহাত দাঁড় করাতে চাইলেন না, ‘কোনো অজুহাত দাঁড় করাতে চাই না। যারা খেলেছে, তারাও আমাদের সেরা স্কোয়াডের ক্রিকেটার। এই পর্যায়ে খেলার মতো বলেই ওরা আছে। কাজেই অজুহাত চলে না। পারফরম্যান্স হতাশাজনক ছিল।’

Comments

The Daily Star  | English
earthquake in Bangladesh

Hundreds feared dead after 6.0 magnitude earthquake strikes Afghanistan

The quake was at a depth of 10 km (6.21 miles), GFZ said.

2h ago